জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে বাস্তবায়নের জন্য এক সপ্তাহের জন্য পেছানো হয়েছে। আগের ঘোষিত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ৪-১৭ অক্টোবর সময়ে ক্যাম্পেইন উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা।
একই বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, অ্যাডভোকেসি সভা, স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ, সাংবাদিক অরিয়েন্টেশন, প্রচার-প্রচারণা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রন্তিক পর্যায়ে পাঠানো ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলী যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগের ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সেবা ও কার্যক্রম পালন করা হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এ জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করা এবং কোনো স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক জ্বর/সর্দি/কাশিতে আক্রান্ত হলে তার পরিবর্তে অন্যকে দায়িত্ব দিতে হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে ইপিআই কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে (মুখে মাস্ক পড়া, সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে বার বার দুই হাত ধৌত করা/ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত পরিষ্কার করা) শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
নির্ধারিত ইপিআই সিডিউল অনুযায়ী, সাধারণত প্রত্যেক ওয়ার্ডের (পুরাতন) ৮টি সাব-ব্লকে সপ্তাহে দুইদিন ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ওই দুইদিন ছাড়া বাকি চারদিন নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও স্বেচ্ছাসেবীদের শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপুসল খাওয়ানো হবে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
উপজেলার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকের সাথে সমন্বয় করে সপ্তাহে চারদিন নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে/পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রুটিন দায়িত্ব হিসাবে পর্যায়ক্রমে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য পরিকল্পনা করতে হবে।
সিটি করপোরেশন/পৌরসভার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মেয়রের পরামর্শে স্বাস্থ্য সেক্টরে কর্মরত মেডিকেল কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে সপ্তাহে চারদিন নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে রুটিন দায়িত্ব হিসাবে পর্যায়ক্রমে শিশুদের স্ব স্ব পৌরসভায় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরকিল্পনা করবেন।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের স্বার্থে কেন্দ্রসমূহে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সতর্কতা (ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও কমপক্ষে ৩ ফুট শারিরীক দূরত্ব নিশ্চিত করা) মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন