জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আ হ ম আবদুল্লা হারুনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে দেখা যায় এই প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘এ কর্মকর্তার নানা কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয়েছে, তিনি বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করপোরেশন ও জনস্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন। এতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ জন্য তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মচারি চাকরি বিধিমালা ২০১৯–এর ৬৪ (২) বিধি অনুসারে জনস্বার্থ ও করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষায় চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি কেবল বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন পাবেন।’
ডিএসসিসির জনসংযোগ শাখা বলছে, আবদুল্লা হারুন প্রায় ১২ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। এজন্য তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লা হারুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ডিপোজিট ওয়ার্কের আওতায় কমলাপুর টিটি পাড়া হতে দক্ষিণ কদমতলী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেল লাইনের দু’পাশে জমানো বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ অপসারণ এবং ডাম্পিং করার কাজটিকে তিন গ্রুপে ভাগ করে ২৮ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন। আহ্বানকৃত দরপত্রে বিভিন্ন অনিয়ম এবং কাজের পরিধি ও নির্ধারিত ব্যয়ের মাঝে বিস্তর অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়।
মোট বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টন। যার মধ্যে বর্জ্যের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন। অবশিষ্ট ১ লাখ ১৫ হাজার টন হবে মাটি ও রাবিশ যা বিক্রয়যোগ্য। অথচ মাটি ও রাবিশ ডাম্পিং বাবদ ওই দরপত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও রাবিশ বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। দরপত্রের মাধ্যমে সংঘটিত অনিয়ম বিষয়ে পত্র-পত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন