জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ গোলার হামলায় নিহত নাবিক মো. হাদিসুর রহমানের (৩২) গ্রামের বাড়ি বরগুনায়। জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ মার্চ) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এ হামলা হয়। এতে জাহাজে আগুন ধরে নিহত হন হাদিসুর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা মো. রাজা হাওলাদারের ছেলে।
হাদিসুর রহমানের নিহত হওয়ার খবরটি পরিবারের কাছে পৌঁছানো হয়ে বলে নিশ্চিত করেছেন তার চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান। তিনি জানান, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে খবরটি হাদিসের পরিবারকে জানানো হয়েছে।
নিহত হাদিসুরের চাচা ফোরকান বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেনের মাধ্যমে তাঁরা জেনেছেন, বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা গেছেন। এ খবরে হাদিসের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
এদিকে, ইউক্রেনে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রকেট হামলার বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর সুমন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিএসসির জাহাজে একটা রকেট শেল আঘাত করেছে। সেটা বিস্ফোরিত হয়ে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন। জাহাজের বাকি ২৮ জন নাবিক ও ক্র অক্ষত আছেন। আগুন নেভানো হয়েছে।
বিএসসি’র নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযূষ দত্ত জানান, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি সেখানে আটকে আছে। জাহাজে বাংলাদেশের ২৯ জন নাবিক ছিলেন। এদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন। সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
উল্লেখ্য, সমুদ্রগামী জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে বহরে যুক্ত হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন