জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পিনারদের কথা আসলে যে ক’টি নাম আসবে সেখানে অন্যতম শেন ওয়ার্ন। তর্কসাপেক্ষে অজিদের সাবেক এই লেগ স্পিনার বিশ্বের সেরা স্পিনারও। শুক্রবার হৃদরোগজনিত কারণে ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন এই কিংবদন্তি।
লেগ স্পিনকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারের আকস্মিক প্রয়ানে শোকস্তব্ধ ক্রীড়াঙ্গনের সাবেক-বর্তমানরা। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেও প্রকাশ করা হয়েছে গভীর শোক। ১২ ঘণ্টা আগেও যিনি অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রডনি মার্শের মৃত্যুর শোক জানিয়ে টুইট করেছিলেন, সময়ের নিঠুরতায় এখন তাকে নিয়েই হচ্ছে একের পর এক টুইট। এত দ্রুত ওয়ার্নের চলে যাওয়াটা মানতে পারছেন না, বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউই!
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস ওয়ার্নের প্রয়াতের খবরে স্তব্ধ হয়েছেন। টুইটে বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য। একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছি। এটা সত্য হতে পারে না…শান্তিতে থাকুক ওয়ার্ন। আমার কেমন লাগছে সেটা বলে বোঝাতে পারব না। ক্রিকেটের জন্য বড় এক ক্ষতি।’
পাকিস্তানের গতি তারকা শোয়েব আখতার লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে শুনলাম মর্মান্তিক খবরটা। কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের প্রয়াণের খবর। আমি কতটা মর্মাহত বলে বোঝাতে পারব না। কী কিংবদন্তি, কী মানুষ, কী ক্রিকেটার।’
পাকিস্তানের আরেক সাবেক কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের বিশ্বাস হচ্ছে একসময়ের বন্ধু সতীর্থ চলে গেছেন। টুইটে তিনি লিখেন, ‘আমি হতবাক। বন্ধু ওয়ার্নের অকাল প্রয়াণ! সবসময় যোগাযোগ রাখত। সাহায্য করত। অসাধারণ বোলারের পাশাপাশি একজন দুর্দান্ত বিনোদনকারী। ওর পরিবার এবং বন্ধুদের আমার সমবেদনা জানাই। শান্তিতে ঘুমাও বন্ধু।’
বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও ওয়ার্নের প্রয়াণ মানতে পারছেন না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘শেন ওয়ার্ন আর নেই, শুনেই স্তম্ভিত হয়েছি। ভালো থেকো কিংবদন্তি। খুব দ্রুতই চলে গেলেন…।’
১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই লিজেন্ড হারিয়ে হতবাক অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘আমাদের খেলার দুই কিংবদন্তি খুব দ্রুত ছেড়ে গেলেন। আমি শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না, এটা খুবই দুঃখের সংবাদ। আমার চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনায় মার্শ এবং ওয়ার্নের পরিবার। আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’
১৯৯২ সালে ভারতের বিপক্ষে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পথ চলা শুরু হয়েছিল ‘স্পিনের জাদুকর’ শেন ওয়ার্নের। ভারতের বিপক্ষে সে ম্যাচে কিছু করতে না পারলেও পরে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের সেরা স্পিনারদের একজন। পরবর্তীতে নামের পাশে যোগ করেছিলেন ৭০৮টি টেস্ট উইকেট। ক্যারিয়ারে শিকার করেছিলেন এক হাজারের বেশি উইকেট।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন