জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
গণপরিবহনে ৬৪.৯২ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার (৫ মার্চ) এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানায় বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন।
তরুণীদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব শীর্ষক সমীক্ষাটি করা হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা দেশের এক হাজার ১৪ জন তরুণী সমীক্ষায় অংশ নেন।
শিক্ষা, চাকরিসহ নানা প্রয়োজনে নারীরা গণপরিবহন ব্যবহার করে থাকেন। সমীক্ষা বলছে, গণপরিবহন হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় বাস। তবে হয়রানির স্থান হিসেবে বাস ও বাসস্টেশন—দুটিকে উল্লেখ করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীরা। দুই জায়গা মিলে হয়রানির হারটা অবশ্য অনেক বড়—৮৪.১০ শতাংশ।
তবে রেল বা রেলস্টেশনে যৌন হয়রানি কম হয় বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীরা। রেল ও রেলস্টেশনে এই হার ৪.৫৮ শতাংশ। আর রাইড শেয়ারিং সেবায় ১.৫৩ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হন।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, গণপরিবহনে যৌন হয়রানির মধ্যে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হন ৬৪.৯২ শতাংশ। ২০.০৪ শতাংশ কুদৃষ্টি এবং অনুসরণের শিকার হয়েছেন বলে জানান।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নারীরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হন একাকী চলার সময়; সংখ্যায় তা ৭৫.৬০ শতাংশ। তবে মা, বোন, বান্ধবী বা অন্য নারী সঙ্গী থাকা অবস্থাও হয়রানির মাত্রা কম নয়—২১.৫৭ শতাংশ। শুধু বাবা, স্বামী, ভাই বা অন্য পুরুষ সঙ্গী সঙ্গে থাকলে ২.৮৩ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে আসে।
অনলাইনে ৪৩.৮৯ শতাংশ নারী বিড়ম্বনার শিকার হন। এর মধ্যে অবান্তর ও কুরুচিপূর্ণ বার্তা এবং বিব্রতকর মন্তব্যের শিকার হন ৬১.১২ শতাংশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন ১০.৩৪ শতাংশ। ৯.৮৯ শতাংশ ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল ছবি নিয়ে দুর্ভোগ পোহান বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া অযাচিত আইডি স্টকিংয়ের (অকেজো) শিকার হন ৫.১৭ শতাংশ।
আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র এবং পরিবার প্রতিষ্ঠিত নারীদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এখনো প্রস্তুত নয়। অথচ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাঁদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন