তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে

জিবিনিউজ24ডেস্ক//

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছেই। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বড় পতন হয়েছে তেলের দরে; নেমে এসেছে ১০০ ডলারের নিচে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল তেলের দাম; একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেলের দর ১৩৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। সপ্তাহখানেক ১০৮ থেকে ১২০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। দুই দিনে ১৫ শতাংশের মতো দরপতনে দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলের দামই ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেল ৮ দশমিক ১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৯৫ ডলার ৩০ সেন্টে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর প্রায় একই পরিমাণ কমে ৯৯ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেল ব্যারেলপ্রতি ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে ১০২ ডলার ৫৫ সেন্টে নেমে এসেছিল। ব্রেন্ট তেলের দর প্রায় একই পরিমাণ কমে ১০৬ ডলার ১৯ সেন্টে বিক্রি হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় বসার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার খবরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি প্রশমিত হয়েছে। এ ছাড়া চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় লকডাউনের আশঙ্কায় তেলের চাহিদা কমে যেতে পারে, এমন খবরে তেলের দর কমছে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ শতাংশের মতো বেড়েছিল। এখন তা নিম্নমুখী হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক এবং আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ইউবিএস গ্রুপের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো বলেন, ‘ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে নতুন আলোচনার পাশাপাশি চীনে নতুন করে লকডাউন শুরু হতে পারে, এমন খবরে তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে।’

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে দেশটি। ২০২০ সালের শুরুতে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সাংহাই থেকে শেনজেন পর্যন্ত নতুন করে প্রাদুর্ভাবের সূত্রপাত হয়েছে। ১৩ মার্চ ১ হাজার ৪৩৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

জ্বালানি তেল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ রাশিয়া। প্রতিদিন দেশটি প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে।

এই তেলের অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাজ্যের চাহিদার ৮ শতাংশ তেল রপ্তানি করে রাশিয়া।

ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রেখে অবশেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনের সেনারাও। এরই মধ্যে তিন দফা ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক হয়েছে; তবে কার্যত যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন