জিবিনিউজ24ডেস্ক//
রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৩ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন দাবি। তবে রাশিয়া বলছে, তাদের মাত্র ৪৯৮ সেনা নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে শুরু করে রুশ সেনারা। ইউক্রেনও পাল্টা আক্রমণ চালায়। তারপর থেকে সংঘাত চলছেই।
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনে তিন সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাতে রাশিয়ার সাত হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, ইউক্রেনীয় পরিসংখ্যান, রাশিয়ান পরিসংখ্যান, স্যাটেলাইটের ছবি ইত্যাদি বিষয় বিশ্লেষণ করে এই সংখ্যা অনুমান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক ভার্চুয়াল ভাষণে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পার্ল হারবার এবং নাইন ইলেভেনের মতো এবং তা মোকাবেলায় পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরো সহায়তা প্রয়োজন।
জেলেনস্কি পরে ইউক্রেনের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং চেচনিয়ায় রাশিয়ার যত সেনা মারা গেছে তার চেয়ে বেশি রুশ সেনা ইউক্রেনে মারা গেছে। এদিকে মারিউপোল শহরে রাশিয়া একটি থিয়েটারে বোমা ছুড়েছে যেখানে প্রায় ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
এদিকে ইউক্রেনে হামলার ঘটনায় রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষেপেছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, যে দেশের বোমা হামলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে, সে দেশের প্রধানের মুখে এমন বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও ক্ষমার অযোগ্য।
স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক বাইডেনের কাছে জানতে চান, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে মনে করেন কি না। প্রথমে বাইডেন উত্তরে ‘না’ বলেন। তবে পরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী।’
পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ঘোষণা করতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে এর আগে সমর্থন জানায় মার্কিন সিনেট। এর এক দিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য করলেন।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমালোচনা করলেও এই প্রথমবারের মতো পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি, মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নে ইউক্রেনের ব্যর্থতা, দনবাস অঞ্চল ও নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা সামরিক অভিযান চালিয়েছেন। ইউক্রেনে হামলার কারণে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়া ও পুতিনের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন