যানজটের কবলে নাকাল দক্ষিণ সুরমাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার ||  জিবিনিউজ  || সিলেট ||

সিলেট পৃথিবীর অন্যতম অপরিকল্পিত একটি শহর। সিলেটের প্রায় প্রতিটি রাস্তা অপ্রশস্ত।

একটি শহরের রাস্তা যতটা প্রশস্ত হওয়ার দরকার তার ধারেকাছেও নেই সিলেটের রাস্তাঘাট তার মধ্যে মুড়ে মুড়ে অবৈধ বাস ও সিএনজি ষ্ট্যান্ড। আর এসব অবৈধ বাস ও সিএনজি ষ্ট্যান্ডের কারনে নগরীর প্রবেশদার দক্ষিণ সুরমায় যানজট লেগেই থাকে। বর্তমানে নগরীর সব থেকে বেশি ট্রাফিকজ্যাম হয় ক্বীন ব্রীজের দক্ষিণপারে তার কারন খোঁজতে গিয়ে সাধারন মানূষ ও বিজ্ঞজনেরা বলেন সিলেটের প্রবেশদার হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রীজ। দেশের যে কোন জেলা থেকে সিলেটে আসার পর শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে হলে ক্বীন ব্রীজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু দূঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, ক্বীন ব্রীজের প্রবেশ মূখেই গড়ে উঠেছে অবৈধ বাস ও সিএনজি ষ্ট্যান্ড এবং উক্ত অবৈধ ষ্ট্যান্ড এর কারনেই মূলত দক্ষিণ সুরমায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। 


অনুসন্ধানে যানা যায় ক্বীন ব্রীজের দক্ষিণপারে দায়িত্বরত যে ট্রাফিক পুলিশই ডিউটিতে থাকেন তাকে ম্যানেজ করেই বাস ও সিএনজিগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে। বাস গাড়ী থেকে প্রতিদিন ট্রাফিক পুলিশ ছয়শত টাকা আর সিএনজি থেকে তিনশত টাকার বিনিময়ে গাড়ীগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্দিদায় কোন বাধা বিপত্তি ছাড়া নিজের ইচ্ছে মতই চলাচল করে। এ জন্য এখানে যারা ট্রাফিকের ডিউটি করেন তারা নিশ্চুপ থাকেন, যার কারনে ট্রাফিক পুলিশের চোখের সামনেই ড্রাইভারগণ নিজের ইচ্ছেমত গাড়ী আকাবাকা করে দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে, ট্রাফিক পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকেন। অথচ একটি ব্রীজের মুখে অথবা পয়েন্টে, মুড়ের মধ্যে বাসগাড়ী বা সিএনজি ষ্ট্যান্ড করার কোন নিয়মই নেই। এখানে তার ঠিক উল্টো, কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর হয়ে গাড়ীগুলো শহরের বাহিরে অথবা ভিতরে আসার কথা থাকলেও নয়শত টাকার বিনিময়ে গাড়ীগুলো নিয়মিত ক্বীনব্রীজের মুখ দিয়ে রেলওয়ে ষ্টেশন হয়ে শহরের বাহিরে এবং ভিতরে যাওয়া আসা করছে। এদিকে পদ্মা কোম্পানির ডিজেল-প্রেট্রোল ডিপু বাবনা পয়েন্টে হওয়াতে প্রায় সময় এখানে আগুন লাগতে দেখা যায় কিন্তু যখন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীগুলো সাইরেং বাজিয়ে আসে তখন এখানে জ্যামের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীগুলো দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওসমানী মেডিকেল ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো উত্তর সুরমায় হওয়াতে ইমার্জেন্সি রোগীর এ্যাম্বুলেন্স গুলোকেও ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে দক্ষিণ সুরমার অনেক সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বার বার মানববন্দনসহ বিভিন্ন  কর্মসূচি পালন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।


এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি হলে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান হলেও ঘন্টা খানিক পরে আবার পূর্বের মত হয়ে যায়, সিলেটের ভাষায় আমরা যাকে বলি যেই লাউ সেই কদু । অনুসন্ধানে আরও যানা যায় যে, বাস মালিক সমিতির সভাপতি হাবিব হোসেনের নের্তৃত্বে এখানে অবৈধভাবে বাস ষ্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। গুনিজনেরা বলছেন অমরা দক্ষিন সুরমার মানূষ অবহেলিত হয়ে আছি প্রসাশনিক কাজ কারবার এমন হয়েছে যে, দক্ষিন সুরমা মনে হয় সিলেট ট্রাফিক অফিস ও এসএমপি-র বাহিরে হাওর এলাকায় পড়ে আছে যার কারণে তারা কোনভাবেই এ ব্যপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না । দক্ষিণ সুরমার মানূষ যখন অতিষ্ট হয়ে পড়বে তখন পরিস্থিতি অন্য রকম হলে এর দায়ভার সিলেট মেট্রো পুলিশকেই নিতে হবে। 
এ বিষয়ে ট্রাফিকের ডিসি ফয়ছল মাহমুদের  মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন