জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট আস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে কি না, এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন— সবকিছু যদি সংবিধান অনুযায়ীই হয় তাহলে সাংবিধানিক সংকট কোথায়?
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপে নিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হওয়া চতুর্থ দিনের শুনানি চলাকালে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির আইনজীবীর উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন।
এদিন প্রধান বিচারপতি বান্দিয়ালের নেতৃত্বে বিচারপতি মুনিব আখতার, আইজাজুল আহসান, মাজহার আলম এবং জামাল খান মান্দোখেলের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে চতুর্থ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিক পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, আজকের শুনানিতে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির পক্ষে আইনজীবী আলী জাফর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং যুক্তি উপস্থাপন করেন। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির আইনজীবী জাফরকে প্রশ্ন করেন, সবকিছু সংবিধান অনুযায়ী চললে সাংবিধানিক সংকট কোথায়?
প্রতি উত্তরে আলী জাফরও বলেন, আমিও তাই বলছি, দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট নেই। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, দেশে সাংবিধানিক কোনো সংকট আছে কি না তা তিনি কেন ব্যাখ্যা করছেন না।
শুনানি চলাকালে বিচারপতি মাজহার রাষ্ট্রপতির আইনজীবীর কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতিনিধি ছিল কি না। পরে জাফর সম্মতিসূচক উত্তর দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত পার্লামেন্ট পুনর্বহালের আদেশ বা নতুন নির্বাচনের আহ্বান কিংবা ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতেও বলতে পারে।
আবার তারা সংসদীয় বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না-এমন রায়ও দিতে পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন