জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
চরম আর্থিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল সমগি জন বাল্বেগায়া (এসজেবি)।
শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সজিত প্রেমদাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারের অকর্মণ্যতার জন্যই আজ শ্রীলঙ্কার এই দুর্দশা। এর দায় অবশ্যই প্রেসিডেন্টের উপর বর্তায়। সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীরা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
এই প্রসঙ্গে সজিত বলেন, 'আমরা ঠিক করেছি যে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করব। কারণ, তিনি দেশকে এই আর্থিক সংকটের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। আমরা এ নিয়ে বিরোধী সমস্ত দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
তাছাড়া, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছেন বিরোধীরা। এখনও পর্যন্ত এই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের একচ্ছত্র আধিপত্য চলে এসেছে। এবার এই ব্যবস্থাপনায় বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টের হাতে সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে না রেখে তা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সরকারি আমলা এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে বিরোধী পক্ষ চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে।
এর আগে প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র থাকার বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা সজিত প্রেমদাস। তার অভিযোগ, এর ফলে জনপ্রতিনিধিরা স্রেফ সাক্ষীগোপালে পরিণত হয়েছেন। তাদের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। এদিকে, গোটা দেশে কার্যত পরিবারতন্ত্র কায়েম হয়েছে। এই ব্যবস্থাকেও একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন সজিত। তার অভিযোগ, এর ফলে গণতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
১৯৭৮ সাল থেকে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের শাসন শুরু হয়। তারপর থেকে প্রায় সব নেতাই ভোটে জেতার আগে এই ব্যবস্থাকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু, ভোটে জিতেই সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়েছেন তারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন