জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন বইয়ের মাধ্যমে ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম এবং ২০২৫ সালে দশম শ্রেণির নতুন বইয়ের মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণপরিষদের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদের কার্যবিবরণী ও প্রাসঙ্গিক তথ্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যে পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে সেখানে শুধু বই পড়বে তা নয়, করে করে শিখবে এবং শেখাটাকে প্রয়োগ করতে শিখবে। সে প্রক্রিয়ায় নিয়ে যেতে চাচ্ছি। তাই আমাদের শিক্ষা হবে প্রকল্পভিত্তিক।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন যে বইগুলো আসবে তাতে স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭ই মার্চের ভাষণ, আমাদের সাংবিধানিক ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা, বীরশ্রেষ্ঠদের কথা বয়সভিত্তিকভাবে সকল শ্রেণিতে আসবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা চাই যে, আমাদের সন্তানেরা সত্যিকার অর্থে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস জানুক।
জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সংগঠক কমরেড দাউদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আবৃত্তিকার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবুল খায়ের। এছাড়া সেখানে গণপরিষদের সদস্য ও সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং পোস্টার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা গণপরিষদের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি। ৫০ বছর আগে বুড়িগঙ্গায় মাছ ছিল, এখন কিন্তু মাছ নেই। পানি পান করা যায় না। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের সমাজ আজ দূষিত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ লুটেরা-ধনিক শ্রেণির স্বর্গে পরিণত হয়েছে। আজ রাষ্ট্র অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বলছে। এটি যদি ভোট এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কথা বলে কম্প্রোমাইজ করা হয়, তাহলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো লাভবান হবে।
ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম বলেন, জাতিরাষ্ট্র তৈরির দলিল থাকে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আমাদের দলিল। আমেরিকার জন্মসনদ আছে। আর আছে বাংলাদেশের। এটা আমাদের জন্য গর্বের। বিশ্বের আর কোনো দেশের জন্মসনদ নেই। আর কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সেরকমভাবে এর প্রতিফলন নেই। এ সময় তিনি পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন