জিবি নিউজ ।।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল গৃহকর্মী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গৃহকর্তা ধর্ষক চন্দন ধর (৪৫) গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে অভিযুক্ত চন্দন ধরের মা সাধনা ধর (৬০) এবং স্ত্রী পূর্ণা ধর ও (৩০) আটক করা হয়।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত ভোরে মৌলভীবাজার জৎগসী এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ইয়াসিনুল হক জানান, শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার জেলার জৎগসি এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।.
এ অভিযানে সন্ধ্যা পর থেকে র্যাবও মাঠে কাজ করেছিল কিন্তু পুলিশ তার আগেই চন্দন কে আটক করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পৌর শহরের একটি বাসায় দেড় বছর ধরে আটকে রেখে এক গৃহকর্মী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের স্টেশন রোডের ওই বাসা থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বাসা থেকে সাধনা ধর (৬০) ও পূর্ণা ধর (৩০) নামে দুই নারীকে আটক করেছে। তবে ধর্ষক মূল অভিযুক্ত চন্দন ধর পলাতক।
ভুক্তভোগীর দাবি, গত দেড় বছর আগে শহরের স্টেশন এলাকার একটি তিন তলা ভবনের বাসিন্দা ‘অরেঞ্জ ফ্যাশনের’ মালিক চন্দন ধরের (৪৫) বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয়। কাজে যোগ দেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় গৃহকর্তা চন্দন ধর তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। বাসার সবাই জানার পরও কেউ বাধা দেয়নি।
তার অভিযোগ, শনিবার সকালে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। এতে চন্দন শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার মেয়েটির চিৎকার শুনে তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এসময় তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন