জিবিনিউজ24ডেস্ক//
সিলেট মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি সুনামগঞ্জে। এদের মধ্যে রবিউল ইসলামের বাড়ি জেলার দিরাই উপজেলায় এবং তারেকের বাড়ি জগন্নাথপুরে।
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারলেও এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলার কোনো আসামিকে এখন পর্যন্ত কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি তা নিয়ে সচেতনমহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
সবার একটিই কথা সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কলেজে বেড়াতে যাওয়া দম্পতিকে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। পরে তারা স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে, তবে এর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৯ জনকে আসামি করে ওই তরুণীর স্বামী বাদি হয়ে নগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। এদের মধ্যে অর্জুন ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
আসামিদের মধ্যে সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের দিরাইয়ে, মাছুমের কানাইঘাটে, অর্জুনের জকিগঞ্জে, রনির হবিগঞ্জে এবং তারেকের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন