জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
যে চায়না থেকে করোনার উৎপত্তি হয়েছে সেই চায়নায় আবারও করোনার কারনে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ, অর্থনৈতিক সমস্যা, বিশ্ব রাজনৈতির নানার আলোচনা-সমালোচনার কারনে কোভিড অনেকটাই আড়ালে চলে গিয়েছে। চায়নায় যেভাবে লকডাউন দেওয়া হয়েছে তা সত্যিই আতঙ্কের।
এদিকে যুক্তরাজ্যে আবারও করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে এছাড়া আমেরিকায়ও বেড়েছে করোনা। যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন এক্স ই নামে করোনার নতুন এই ধরনটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৭৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন, ধরনা করা হচ্ছে নতুন এই ধরনটি দ্রুত ছড়ায় এবং অন্যন্য সব ধরনের থেকে শক্তিশারী।
পাবলিক হেলথের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ওমিক্রনের বিএ ওয়ান এবং বিএ টু এরই একটি সাব ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন এক্সই।
ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ড. অ্যালান স্টাওট জানান , এটি খুবই প্রাথমিক পর্যায়। তাই এই করোনার ধরনটি যুক্তরাজ্যে সব থেকে শক্তিশালী ধরন হতে পারে।
বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়ার তথ্যমতে, বর্তমানে চায়নায় ৩ কোটি মানুষ কঠোর লকডাউনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সব থেকে খারাপ সময়।
যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনার ধরন পরিবর্তণ হচ্ছে। তাই উপসর্গও পরিবর্তন হচ্ছে।
যাদের টিকার দুই ডোজ কিংবা তিন ডোজই দেওয়া হয়েছে তাদের যদি করোনা হয় তাহলে কফ, নাক দিয়ে পানি পরা, ক্লান্তি, গলাব্যাথা, মাথাব্যাথা, পেশী ব্যথা, জ্বর ও হাচিঁর মতো উপসর্গ গুলো দেখা যায়।
এদিকে যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে গত কয়েক সপ্তাহে আবারও করোনার রোগী বেড়েছে। তাই সরকারের মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার নিয়ম ফিরিয়ে আনার জন্য বলছে দেশটির গবেষকরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন