হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রেম না কি যৌবন জ্বালায় ২সন্তান রেখে ১৬ বছর বয়সী ভাগিনার ঘরে মামী আমিরুন( ভিডিও )

আমাদের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ জানানঃ- দুই সন্তানের জননী পরকীয়ায় লিপ্ত। দিন মজুর স্বামী পড়েছেন নানান দুঃচিন্তায়। সে প্রেমের টানে বার বার যায় না কি যৌবন জ্বালায় যায় তা বুঝে ওঠতে পারছেন না সাবেক স্বামী। সে কিভাবে পাষন্ডের মতো ২সন্তান রেখে ১৬ বছর বয়সী ভাগিনার হাত ধরে চলে গেল? এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

(  ভিডিও )https://www.youtube.com/watch?v=UUdVextegJ0

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের দেবপাড়া গ্রামের পশ্চিমে বিজনা নদীর পারে অবস্থিত অসহায় দিন মজুর আমিন মিয়ার বাড়ী৷ তিনি পেশায় একজন অটো রিস্কা শ্রমিক। সে বিগত ২০১১ সালে বিয়ে করেন আমিরুন আক্তারকে৷ তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ঔরসজাত শিশু সন্তানও রয়েছে। এর মধ্যে বড় ছেলে ৯ বছরের কামরুল ও ছোট ছেলে ৭ বছরের সাইদুরকে নিয়ে মোটামুটি খুব সুখ শান্তিতেই কাটাচ্ছিল বলে আমিন মিয়া জানান। গত বছর ২০২১ ইংরেজী থেকে আমিরুন আক্তার তারই পাড়া প্রতিবেশী মৃত বাদশা মিয়ার পুুত্র তার সম্পর্কে ভাগিনা মকবুল নামের ১৬ বছর বয়সী যুবকের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। এতে কয়েকবার ঘর থেকেও পালিয়ে যান মকবুলের হাত ধরে৷ তবে, গ্রামবাসী ও স্থানীয় সামাজিক বিচারের মাধ্যমে এমন অপকর্মে আর কখনো জড়িত হবে না মর্মে তাকে দিনমজুর শ্রমিক আমীনের ঘরে দেয়া হয়৷ কিন্তু কে শুনে কার কথা? এরই জের ধরে গত ১২ ফেব্রুয়ারী মাসে হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামায় আমিরুন আক্তার তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে গোপনে গোপনে মকবুলের সাথে আবারো পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সে তার পরকীয়া প্রেমিক ভাগিনা মকবুলের হাত ধরে আবারো গত মঙ্গলবার দিনদুপুরে পালিয়ে মকবুলের বাড়িতে চলে যায়৷

তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মকবুলের ঘরেই অবস্থান করছেন আমিরুন আক্তার। এ প্রতিনিধিকে তিনি জানিয়েছেন মকবুলকেই চান৷

পূর্বের স্বামী আমিন মিয়া তার দু'টি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে৷ আরো জানান, একবার নয়, আমার স্ত্রী আমিরুন এনিয়ে ৩/৪ বারের মতো আমার ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এবং আমার উপরে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমাকে তালাক প্রদান করলো। আমিও আমার সন্তানেরা এই আমিরুনকে আর চাইনা৷ 

এ ব্যাপারে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মায়ারুন বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে পরক্রিয়া প্রেমিক মকবুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি৷ সে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয়৷ উক্ত ঘটনায় এলাকায় নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় বইছে৷

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন