হজে গমনেচ্ছুদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার এবার বিদেশিদের শর্তাসাপেক্ষে হজে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসালেও এ বছর বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং স্বল্পতম সময়ের প্রস্তুতিতে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আসন্ন হজে গমনেচ্ছু এবং হজ-সংশ্লিষ্টদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে হজ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি এবং হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি এবং প্রস্তুতি গ্রহণের কিছু বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

 

বিষয়গুলো হলো ২০২২ সনের হজে ৬৫ বছর (পাসপোর্ট অনুযায়ী যাঁদের জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ এবং পরবর্তী) এর কম বয়সী ব্যক্তিই কেবল হজ পালনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

২০২০ সালে সকল সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হজযাত্রী ১৪৪৩ হিজরি সনে হজে যাবার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ২০২০ সালে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে (পাসপোর্ট অনুযায়ী যাঁদের জন্ম তারিখ ৩০ জুন ১৯৫৭ সনে বা পূর্বে) নিবন্ধিত বয়স্ক হজযাত্রী অথবা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ হজে যেতে আগ্রহী হলে তিনি উক্ত শূন্য কোটায় অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকার নিকট অনতিবিলম্বে বদলি হজযাত্রীর পাসপোর্টসহ আবেদন করবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগ্রহীগণ যোগ্য স্ব স্ব হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। উভয় ক্ষেত্রেই, প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ২০২২ সালের হজের জন্য নতুনভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভিসা আবেদন করার লক্ষ্যে যে সব বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে সেগুলো হলো ২০২০ সনের নিবন্ধিত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীগণ ২০২২ সনের হজ প্যাকেজ ঘোষণার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে যেকোনো নিবন্ধন কেন্দ্র হতে প্যাকেজ স্থানান্তর সম্পন্ন করবেন। এজন্য ২০২০ সনে পরিশোধিত প্যাকেজ মূল্য সমন্বয় করে ২০২২ সনের যেকোনো একটি প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ ভাউচারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা করতে হবে। প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধনের ৩ দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের স্ব স্ব পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে বিনা ব্যর্থতায় হজ অফিস ঢাকায় জমা দিতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২০২০ সনের নিবন্ধিত হজযাত্রীগণ নিজ নিজ এজেন্সি ঘোষিত প্যাকেজ (সরকারি ব্যবস্থাপনার সর্বনিম্ন প্যাকেজের নিম্নে নয়) দ্রুত নির্ধারণ ও অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে এজেন্সির সহায়তায় হজে গমনের কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

এছাড়া নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুগণ পাসপোর্ট এর মেয়াদ যাচাই করে কমপক্ষে ৪ জানুয়ারি ২০২৩ সন পর্যন্ত মেয়াদযুক্ত পাসপোর্ট প্রস্তুত রাখবেন। যাঁদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা নতুন করে পাসপোর্ট করতে হবে তারা অতীব জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করবেন। হজের সময়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের নিয়ম মোতাবেক প্রতিটি স্থানে গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে এবং হজের সফরের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজকীয় সৌদি সরকারের প্রবর্তিত নিয়ম অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কভিড ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করে টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট হজের পুরো সফরে ব্যবহারের লক্ষ্যে একাধিক কপি/ আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট কপি প্রস্তুত রাখবেন।

নিবন্ধন ব্যতিত কভিড ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে অথবা 'সুরক্ষা' অ্যাপস-এ টিকা নেওয়ার তথ্য আপডেট নেই এমন হজযাত্রীকে টিকা গ্রহণের তথ্য সুরক্ষা অ্যাপস-এ অন্তর্ভুক্তিক্রমে টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে অর্থ্যাৎ টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। হজে গমনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কভিড পরিক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, হজযাত্রীগণ নিয়মিত সেবন করেন এরূপ কোনো ওষুধ সৌদি আরবে নেওয়ার প্রয়োজন থাকলে তা অবশ্যই রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসকের/হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে করে লাগেজে বহন করবেন। কোনো প্রকার ব্যবস্থাপত্র বিহীন ওষুধ সঙ্গে নেওয়া যাবে না। হজযাত্রী, গাইড বা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি জর্দা, গুলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সঙ্গে নেওয়া যাবে না। সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরব হতে প্রত্যাগমনের সময় ষাট হাজার সৌদি রিয়ালের অধিক নগদ অর্থ বা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার বা মূল্যবান কোনো দ্রব্যাদি বহন করলে উক্ত যাত্রীকে সৌদি স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি ক্রয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ভাউচার প্রদর্শন করতে হবে।

হজের বিষয়ে কোনো তথ্য জানার জন্য হজ অফিস, ঢাকার কলসেন্টার ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হজের বিষয়ে কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন হলে হজ অনুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট উপসচিব (হজ-১) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন মোবাইল নম্বর: ০১৭২০-২০৯৫৯৯, ই-মেইল: [email protected] এ যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন