জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
দুই বছর পর ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত হলেও সেখানে নামাজ পড়বেন না রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ঈদের দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে তার পরিবারের সদস্য ও কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন।
রোববার (১ মে) রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপ্রধান কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব এড়াতে এবার রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
বঙ্গভবনে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের পর রাষ্ট্রপতি ক্রেডেনশিয়াল হলে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এর আগে রোববার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সেখানে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জামাতে অংশ নিতে আগ্রহীদের ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না আনার অনুরোধ করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে আসতে নিষেধ করছি আমরা। এছাড়া প্রত্যেক মুসল্লিকেই তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারো সঙ্গে ব্যাগ থাকলে সেটিও তল্লাশি করা হবে।
কমিশনার বলেন, এবারের ঈদে ঢাকায় ছোট বড় ঈদগাহ এবং মসজিদ মিলে মোট ১৪৬৮টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সবকটিতেই নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে জামাতের আগে সুইপিং করবে বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট, চারপাশে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করবে ডিএমপির টিম।
তল্লাশি করতে সময় লাগার কারণে ঈদগাহের জামাতে মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের আগে আসার অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঈদের প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হলে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন