জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
রোজার পুরো একমাস জনমানবহীন ছিল কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকেই বাড়তে শুরু করে পর্যটকদের আনাগোনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পর্যটকের এমন ভিড়ে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। তবে সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকরা বেশির ভাগই স্থানীয় বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অন্য জেলার পর্যটকদের আগমনে ভিড় আরও অনেকটা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতে আসা পর্যটকরা সমুদ্রে সাঁতার কেটে হৈ-হুল্লোরে মেতেছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ বা আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এ সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
পটুয়াখালী থেকে সৈকতে আসা সজিব মিয়া বলেন, ঈদের জামাত আদায় করেই বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় চলে এসেছি। আমরা এখন সবাই মিলে সমুদ্রে সাঁতার কাটছি। দিনটা আনন্দময় হয়ে উঠেছে।
বরগুনার আমতলী থেকে আসা রাহেলা-মিজান দম্পত্তি বলেন, মিজান ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। ঈদের ছুটি খুবই কম। তাই ঈদের প্রথম দিনই সপরিবারে এসেছেন। সৈকতে পাতা বেঞ্চিতে বসে তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। দুপুরে দিকে সবাইকে নিয়ে সমুদ্রে গোসল করবেন।
ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক কে.এম জহির বলেন, আমাদের হোটেল মোটেলের ৮৫ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। করোনায় দীর্ঘ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভ হওয়ার আশা করছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীসহ মাঠে থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ তৎপর রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন