নজিরবিহীন তেল রফতানি বেড়েছে ইরানের

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইরানের তেল রফতানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। ট্যাঙ্কার ট্র্যাকার্স-সহ আন্তর্জাতিক তেল ট্যাংকার চলাচল পর্যবেক্ষণকারী তিনটি সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ট্যাঙ্কার ট্র্যাকার্স জানিয়েছে, আগস্ট মাসের চেয়ে ইরান সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিগুণ তেল রফতানি করেছে। ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটির তেল রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল।

 

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্প্রতি বলেছেন, তার দেশ গত আড়াই বছর ধরে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে এবং এটি ঠাট্টা করার মতো কোনো বিষয় নয়।

তবে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার পরেও ইরানের তেল রফতানি কমেনি বরং, উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে। এমনকি দেশটি দৈনিক তেল রফতানি প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে। গত দেড় বছরে এই পরিমাণ তেল রফতানির ঘটনা নজিরবিহীন।

ট্যাংকার ট্র্যাকার্সের কর্মকর্তা মাদানি গত জানুয়ারি মাসে বলেছিলেন, ওই মাসে ইরানের তেল রফতানি তার আগের মাসের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এসব তেলের শতকরা ৭ থেকে ১০ ভাগ সুয়েজ খালের মাধ্যমে সিরিয়ায় পৌঁছেছে এবং বাকি তেল দূরপ্রাচ্যসহ অন্যান্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

ট্যাংকার ট্র্যাকার্সের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের মোট রফতানি করা তেলের অর্ধেক কোথায় যায় তা পরিষ্কার নয়। কারণ, এসব তেল বিদেশি তেল ট্যাংকার বহন করে এবং গভীর সমুদ্রে এসব তেল জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর করা হয়।

ইরানের তেল মন্ত্রণালয় সাধারণত তাদের তেল উত্তোলন ও রফতানির পরিমাণ ঘোষণা করে না। ইরানের অভিজ্ঞ তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানেকে সেদেশের তেল রফতানি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কথা শুধু দেশের জনগণ শোনে না বরং শত্রুদের কানেও পৌঁছে যায়।’ তিনি আরও বলেন, তেল মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কেউ যেন পরিসংখ্যান আশা না করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন