জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
আগামী বছরের আগস্টে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে যানজট কমানোর আরেকটি মেগাপ্রকল্প ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট।
প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন এরিমধ্যে ৭৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৩০টি বিদ্যুৎচালিত বাস দিয়ে শুরু হবে দেশের প্রথম বিআরটির যাত্রা।
তবে কাজে দেরি হবার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের কারণেই প্রকল্পের কাজ পিছিয়েছে।
দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প আর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট। যে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে।
আর শেষ হবার কথা ছিলো ২০১৬ সালে। কিন্তু গেলো এক যুগে দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ বাড়ানোর পর সেটি এখন শেষ হচ্ছে আগামী বছর।
ঢাকার ব্যস্ততম সড়ক উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী এই প্রকল্প মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। তাই প্রকল্পটি নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
অবশেষে শেষ হচ্ছে সব ভোগান্তির। শেষ হচ্ছে প্রায় ২১ কিলোমিটারের স্বস্তিদায়ক এই পথের নির্মাণ কাজ। গাজীপুর চৌরাস্তায় বসে গেছে ফ্লাইওভারের ২৪টি পিলার ও ২২টি পিয়ার ক্যাপ।
এখন রাতদিন এক করে বসানো হচ্ছে ব্যালেন্স ক্যান্টিলিভারের তিনটি স্প্যান। আরেক পাশে চৌরাস্তার দক্ষিণ অংশে রাজধানীমুখী ৬ পিলারের ওপর বক্স গার্ডারের ৫ স্প্যানও বসে গেছে।
প্রকল্পের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানালেন, কাজ শেষ হয়েছে ৭৭ শতাংশ। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই মূল কাজটি শেষ হবে। আর আগামী বছরের আগস্ট নাগাদ নতুন এই পথের সুফল মিলবে বলে জানালেন তিনি।
তবে সড়কটিতে কি ধরণের বাস চলবে তা নিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। একবার আলোচনায় এসেছে বিদ্যুৎচালিত বাস চলার তথ্য।
সেখান থেকে সরে বিদ্যুৎচালিত আর্টিক্যুলেটেড বাস চালুর পরিকল্পনা হয়। সেই সিদ্ধান্ত আবারও পাল্টে ডিজেলচালিত বাস কেনার সিদ্ধান্ত হয়। সবশেষ সেটাও পাল্টে এখন বলা হচ্ছে, এই পথে চলবে ১৩০টি বিদ্যুৎচালিত বাস।
তবে প্রকল্পের কাজ শুরুর পর থেকে গেলো এক বছরে কাজের গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। পথটি চালু হলে গাজীপুর থেকে মাত্র আধা ঘণ্টায় উত্তরা পর্যন্ত আসতে পারবেন যাত্রীরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন