জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
বাংলাদেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অর্থ পাচারকারী পি কে হালদারের ব্যাপারে তদন্তে নেমে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই জানতে পেরেছিল যে, হুন্ডির মাধ্যমে এ অর্থ ভারতে আনা হয়েছে।
এবার নথিপত্র জালিয়াতি করে কীভাবে সেই টাকা পাচারের সক্রিয় হয়ে উঠেছিল চক্রটি, সে বিষয়ে খোঁজ শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
হুন্ডির টাকায়, কোথায়, কত সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তারও সন্ধান চলছে। মূল অভিযুক্ত প্রশান্তকুমার হালদার সহ ছয়জনের কাছ থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার এবং ভোটার কার্ড পেয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা।
জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে প্রভাবশালী কারও মদতে তা বানানো হয়েছিল। তার ফলে এ রাজ্যে আত্মগোপন করে থাকতে সমস্যা হতো না। তারা নিজেদের এখানকার বাসিন্দা বলেই পরিচয় দিতেন।
বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে পেশায় মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধাকে আটক করে ইডি। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ মেলে। তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন, কোন রুটে হুন্ডির টাকা পশ্চিমবঙ্গে আসত। তা পাচারের পর, কার মদতে সেই টাকা দিয়ে নামে এবং বেনামে সম্পত্তি কেনা হতো। বিপুল অর্থ গেলই বা কোথায়?
এ রাজ্যের অশোকনগর, দমদম এবং কলকাতাসহ নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রশান্তকুমার হালদার ছাড়াও তার ভাই গণেশ হালদারসহ বাংলাদেশের বাসিন্দা ইমাম হোসেন, স্বপন মৈত্র ও উত্তম মৈত্র এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শর্মি জেলে থাকলেও, বাকিদের জেরা করছেন ইডি অফিসারেরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন