বিশেষ প্রতিনিধি :স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার। দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। টুঙ্গিপাড়াতেই কেটেছে শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ তারা পাঁচ ভাইবোন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু, শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ পরিবারের সবাই ঘাতকদের বুলেটে নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন জননেত্রী শেখ হাসিনার। তবে তার কর্মময় জীবন কুসমাস্তীর্ণ ছিল না মোটেই, ছিল কণ্টকাকীর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারা নির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার তার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ২০ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার অবদান গোটা বিশ্বেই স্বীকৃত। শান্তি, গণতন্ত্র, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন, জাতিতে জাতিতে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে ভূষিত হয়েছেন। ডিজিটাল ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথম ও ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন