জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
মিয়ানমারের পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে, মাসিক ঋতুকালের জন্য দরকারি স্যানিটারি প্যাড জোগাড় করতে পারছে না দেশটির নারীরা। শনিবার (২৮ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারের মুদ্রার মান কমছে। বাজার সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। একদিকে তেলের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম।
এদিকে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় স্থানীয় বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানে পণ্য সরবরাহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। জরুরি পণ্য পরিবহনও বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তারা এটি করছে যাতে সশস্ত্র প্রতিরোধ দলের সদস্যরা খাবার না পেয়ে আস্তানা থেকে বেড়িয়ে আসে।
মিয়ানমারের নারীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, চলমান পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটারি প্যাড পেতে সমস্যা হচ্ছে। প্যাডের দাম ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের বাজেটের বাইরে চলে গেছে। এছাড়া নারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুযোগও কমে গেছে।
প্রতিবেদনে নারীদের মাসিকের সময় মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ্য কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে আবাসিক এলাকায় সেনাদের হামলা, চলমান অস্থিরতা এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনা।
কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণস্বাস্থ্য গবেষক ম্যাগি স্মিত ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত নারীরা রজ:স্রাবকালের দরকারি সামগ্রী কিনতে পারছেন না। যারা কিনতে পারছেন তারা সবাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পণ্য পাচ্ছেন না। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন টয়লেটেরও অভাব রয়েছে।
মিয়ানমারে ১৬ লাখ মানুষ ২০২১ সালে করোনা মহামারি ও সেনা অভ্যুত্থানের কারণে কাজ হারিয়েছে। সশস্ত্র সংঘাতের কারণে অনেক কৃষক ও শ্রমিক কাজ করতে পারছে না। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ অনুমান করেছিলো, এ বছরের শুরুর দিকেই মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেক মানুষের দৈনিক আয় মাত্র এক ডলারেরও নিচে নেমে যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন