জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮০ রান। রীতিমতো কঠিন সমীকরণ। ইশান কিষান ও কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে সেটাও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ বলে বাউন্ডারিতে ম্যাচ সুপার ওভারে নেন পোলার্ড। সেখানে শেষ বলে বিরাট কোহলির বাউন্ডারিতে দারুণ এক জয় তুলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
দুবাইয়ে বড় লক্ষ্যে নেমে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় অসহায় আত্মসমর্পণের আশঙ্কায় ছিল মুম্বাই। ৭৮ রানের মধ্যে রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, কুইন্টন ডি কক ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিদায় দেখা দলটি ঘুরে দাঁড়ায়। পোলার্ডের ২০ বলের হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ইশানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল মুম্বাইয়ের।
শেষ ওভারে ইসুরু উদানার প্রথম দুই বলে একটি করে রান নেন পোলার্ড ও ইশান। পরের দুই বলে ইশানের দুটি ছক্কায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় মুম্বাই। কিন্তু পঞ্চম বলে ডিপ মিডউইকেটে দেবদূত পারিক্কালের ক্যাচ হন তিনি। মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি তার, ৫৮ বলে ২ চার ও ৯ ছয়ে ৯৯ রান করেন ইশান। শেষ বলে পোলার্ডের বাউন্ডারিতে ম্যাচ টাই হয়। ২৪ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। ৫ উইকেটে ২০১ রান করে মুম্বাই।
অবশ্য সুপার ওভারে পোলার্ড ও পান্ডিয়া ক্রিজে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। সাইনির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেটে ৭ রান করে মুম্বাই। পোলার্ড চার মারার পর পঞ্চম বলে আউট হন। বেঙ্গালুরুর পক্ষে সুপার ওভারে ৮ রানের লক্ষ্যে নামেন ৩ বলে ১১ রান করা কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স। বোলিংয়ে ছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। তার ওভারে দুটি চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদূতের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথ তৈরি করে বেঙ্গালুরু। নবম ওভারের শেষ বলে তাদের জুটি ভাঙে ৮১ রানে। ফিঞ্চের ব্যাটে আসে ৩৫ বলে ৫২ রান। দেবদূত ৫৪ রান করে ১৮তম ওভারে বিদায় নেন। এরপর ডি ভিলিয়ার্স ও শিবম দুবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলীয় স্কোর ৩ উইকেটে ২০১ রান হয়। ২৪ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাচসেরা ডি ভিলিয়ার্স। ১০ বলে ২৭ রান করেন দুবে।
৩ ম্যাচে ২ জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু। সমান খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে মুম্বাই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন