জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
উভয় পক্ষই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ, নিয়মিত, সস্তা এবং সুশৃঙ্খল কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার উপায় তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সরকারের টিকাদান এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) গণভবনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত শ্রমিকদের কর্মসংস্থান-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) পৃষ্ঠপোষকতায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া সরকারের অসামরিক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
জুনেই খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, সিন্ডিকেটের ভাগ্য কুয়ালালামপুরের হাতেজুনেই খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, সিন্ডিকেটের ভাগ্য কুয়ালালামপুরের হাতে বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী মালয়েশিয়ান চলমান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) নির্দেশিকা অনুসরণ করে তাঁদের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া সুগম করার বিষয়ে অবহিত করেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, তাঁরা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত করা হয়েছে।
দাতুক সেরি এম সারাভানান আরও বলেন, তাঁরা এখন সব কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করেছেন, যাতে প্রতিটি পদক্ষেপে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়।
মালয়েশিয়া শুধু চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে উল্লেখ করে সারাভানান বলেন, তাঁরা নিয়োগকারী সংস্থাকে মাঝখানে না রেখেই নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে কর্মীদের বেতন কার্ড অ্যাকাউন্টে সরাসরি ই-পেমেন্ট ইনস্টল করেছেন। তবে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তিনি মানব পাচারের আশঙ্কা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন