পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল, আলোচনায় ৭ নাম,কে হচ্ছেন

gbn

বিশেষ প্রতিনিধিঃঅ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে গেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ। সাংবিধানিক এ পদটি পূরণে সরকার সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবীদের মধ্য থেকে নতুন একজনকে খুঁজে নেবে। গুরুত্বপূর্ণ এ পদ পূরণে পেশাদার আইনজীবীদের মধ্য থেকে ‘যোগ্য’ এবং ‘উপযুক্ত’ ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেয়া হয়। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৩ জন আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারের প্রথিতযশা আইনজীবীরাই নিয়োগ পেয়েছেন এ পদে। যদিও সাম্প্রতিক সরকারগুলো এ পদটি পূরণ করছে সরকারের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে।    আইনমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়. মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এম এইচ খন্দকার। স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার পর প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হোন ফকির শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সময়ের ধারাহিকতায় ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ (১৯৭৬), মোস্তাফা কামাল (পরবর্তীতে বিচারপতি, ১৯৭৭), ব্যারিস্টার রফিক উল হক (১৯৯০), অ্যাডভোকেট আমিনুল হক (১৯৯১), কে.এস. নবী (১৯৯৬), মাহমুদুল ইসলাম (১৯৯৮), এএফ হাসান আরিফ (২০০১), এ. জে. মোহাম্মদ আলী (২০০৫), ব্যারিস্টার ফিদা এম. কামাল (২০০৭), সালাহউদ্দিন আহমেদ (২০০৮) এবং সর্বশেষ অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম (২০০৯-২০২০) পর্যায়ক্রমে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের দীর্ঘতম সময় ধরে (১১ বছর) এ পদে দায়িত্ব পালন করে রোববার ইন্তেকাল করেন মাহবুবে আলম। এখন এ পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে- এ নিয়ে চলছে তোড়জোড়। তবে মাহবুবে আলমের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর থেকেই কে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন- এ নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন।    গতকাল সোমবার মাহবুবে আলমকে দাফনের পর সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল। আলোচনায় সুপ্রিম কোর্ট বারের বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর নাম উঠে আসে। এর মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এম. আমিন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী, ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউ.সি। এ ছাড়া সিনিয়র অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সম্প্রতি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট এস.এম. মুনীরের নামও উঠে আসে। নারী আইনজীবীদের মধ্য থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল পদের জন্য নাম ওঠে ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরের। প্রজ্ঞা, মেধা আর আনুগত্যের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নিয়োগ দেয়া হয় বিধায় সরকার গত ১১ বছর মাহবুবে আলমের বিকল্প আর কাউকে ভাবেনি। কাউকে সেভাবে তৈরিও করেনি। এ কারণে মনে করা হচ্ছে, মাহবুবে আলমের মতো নির্ভরযোগ্য আইনজীবী খুঁজে পাওয়া সরকারের জন্য কঠিনই হবে। তবে পদটি সাংবিধানিক হওয়ায় বেশি দিন শূন্য থাকবে না বলেই মনে করছেন বিচারাঙ্গন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যমান আইনজীবীদের মধ্য থেকেই হয়তো এ পদের জন্য সরকার একজনকে বেছে নেবে। ‘দি বাংলাদেশ ল’ অফিসার্স অর্ডার-১৯৭২ এর ৩(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট এ পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।    তাদের মতে, আলোচনায় যত নামই উঠে আসুক- অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগপত্রে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর পড়লেই অবসান ঘটতে পারে সব জল্পনা-কল্পনার। অলঙ্কৃত হবে শূন্য হয়ে যাওয়া এই সাংবিধানিক পদ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন