ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। অষ্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে। অষ্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, কৃষি ও বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে। এ সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। কোভিড-১৯ সময়ে বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অষ্ট্রেলিয়ায় ৮৩৪ দশমিক ০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৭৫০ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। অষ্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি  আরো বাড়ানো সম্ভব।
আজ ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমে ব্রুয়ার (Jeremy Bruer) এর সাথে বৈঠকের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ মুহুর্তে বিনিয়োগের জন্য খুবই আকর্ষণীয় স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এখানে বিনিয়োগ করলে অষ্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার এ মুহুর্তে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। অষ্ট্রেলিয়া এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
ঢাকায় নিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমে ব্রুয়ার বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সাথে অষ্ট্রেলিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশে এনার্জি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তৈরি পোশাক সেক্টরে বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ উভয় দেশ সফর করে বিনিয়োগের সেক্টর নির্বাচন করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী অষ্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা গ্রহণ করছে। তাদের বিষয়ে অষ্ট্রেলিয়া সরকার দায়িত্বশীল।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন