জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কখনো কারও কাছে মাথা নত করিনি, প্রাণ ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।’
শনিবার ( ১১ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা জানানোর পরে তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেফতার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে তাদের নিদের্শনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি। জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাবো, দল কীভাবে চালাবো সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করবো, সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিএফআইয়ের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়ই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনো দিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাই নি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারো কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটি বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা সেটি পাঁচ ভাগের ওপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না। কেন তাদের এই দৈনতা? বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি, বিনা পয়সায় যাদের ভ্যাকসিন দিয়ে তরতাজা করেছি, তারাই এখন সমালোচনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাবো। যে যাই বলুক, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।
গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস বলে আখ্যা দেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন