ইউক্রেন ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা চায় না চীন

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ফোরামে ইউক্রেনের যুদ্ধ ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সংকট নিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে চীন। রোববার সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ওই নিরাপত্তা ফোরামে এমন কথা জানিয়েছেন চীনা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।

সিঙ্গাপুরের শাংরি-লায় অনুষ্ঠিত সংলাপে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেংহে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে (রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা) চাপ বা নিষেধাজ্ঞাগুলো কেবল আরও সমস্যাকে উস্কে দেবে। এর মাধ্যমে বর্তমান সংকট আরও জটিলাকার ধারণ করবে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।

 

তিনি বলেন, ইউক্রেনে চলমান ঘটনাপ্রবাহে বেইজিং অত্যন্ত মর্মাহত।’ তিনি মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আলোচনা চান।

তিনি আরো বলেছেনন, ‘এ সংকটের নেপথ্যে কী রয়েছে? বর্তমান সংকটের নেপথ্যের নায়ক কারা? সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কোন পক্ষ? কার লাভ হয়েছে? আর কে-ই বা শান্তির পক্ষে কাজ করছে এবং আগুনে ঘি ঢালছে। আমার মনে হয়, এসব প্রশ্নের জবাব আমরা সবাই জানি।’

এ সময় চীনা সামরিক বাহিনীর রকেট বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ওয়েইও জোর দিয়ে বলেছেন, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার পরেও দেশটি যুদ্ধে তেমন ভালো করতে পারছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন নাটকীয় মোড় নিয়েছে। ইউক্রেনের মাইকোলাইভ অঞ্চলের গভর্নর ভিটালি কিম জানিয়েছেন, 'রাশিয়ার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে তাদের সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী, তাদের প্রচুর আর্টিলারি এবং গোলাবারুদ রয়েছে। আর আপাতত, এটি আর্টিলারির যুদ্ধ... এবং আমাদের কাছে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদ নেই। তাই ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য আমাদের এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

ইউক্রেন আরও অস্ত্র পাওয়ার বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা শনিবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তিনি ভবিষ্যতে ভারী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে, পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেবিগনিউ রাউ এর সাথে কথা বলেছেন।

এর আগে শনিবার ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, রুশ আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার এক সাক্ষাত্কারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ১০হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছিল কিনা। এ সময় আরেস্তোভিচ বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, নিহতের সংখ্যাটা এমনই।’

এর আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছিলেন যে যুদ্ধে প্রতিদিন ১০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন