আতিকুর রহমান মাহমুদ, ছাতক থেকে
ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অতীতের সকল বন্যা রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন ও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সকল হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাট। একমাসের ব্যবধানে আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বন্যায় উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দির। উপজেলা পরিষদের সকল কার্যালয় বাসা-বাড়ি, থানা, হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। ছাতকের সব এলাকায় এখন থৈ থৈ করছে পানি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সুরমা নদীতে খেয়া পারাপারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) থেকে এখানে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ও নদ- নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। হাজার-হাজার মানুষ বিভিন্ন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়হীন মানুষ পানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নিজের গবাদিপশু নিয়ে। অধিকাংশ এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে ছাতক-সিলেট রেল লাইনও। এখানে বন্যা আর মানুষের কান্না একাকার হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদ সীমার ২.২০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানিয়েছেন, নিজের বাসভবন সহ পরিষদের সব ক"টি বাসা- বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। মানুষ বের হতে পারছেনা ঘর থেকে। বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। এ দিকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ও অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলার উঁচু এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন