এবার ২০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলা নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//

নর্দান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ আবদুল্লাহর আরো একটি প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। নতুন প্রতারণার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে রাজধানীর বনানী থানায়। মামলা এজাহারে ২০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। রাজধানী গুলশানের বাসিন্দা ফ্লোরিন গনি রহমান গত ৬ জুন রাত সোয়া ১০টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১০।

মামলায় ইউসুফ আব্দুল্লাহ ছাড়াও মো. রিয়াজুল আলম এবং আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আনরেজিস্টার্ড চুক্তিনামা তৈরি করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ২০ কোটি ৫ লাখ ছিয়াত্তর হাজার নয়শ বিশ টাকা।

এজাহারে আরো বলা হয়, আসামি মো. ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও তার কোম্পানি প্রাসাদ নির্মাণ লিমিটেড নিজেকে মালিক দাবি করে উক্ত ভবনের তৃতীয় তলার সম্পূর্ণ অংশ বিক্রি করার জন্য বেসিক ব্যাংক এর কাছ থেকে ১৫ কোটি আটানব্বই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এবিষয়ে আসামি ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও তার কোম্পানি একটি মৌখিক অসত্য বিবৃতি প্রদান করে বাদীর স্বামী মরহুম আহমেদ ফয়জুর রহমানকে ৫ কোটি টাকা প্রদানের কথা বললেও এবিষয়ে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন।

বাদী ফ্লোরিন গনি রহমানের অভিযোগ, আসামি মো. ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও তার কোম্পানি বেসিক ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ নিজে আত্মসাৎ করেন।

এবিষয়ে বনানী থানার ওসি নুরে আযম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সত্যতা স্বীকার করেন।

ইতোপূর্বে, গত ১০ জানুয়ারি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরির জন্য আশিয়ান গ্রুপের কাছ থেকে পাঁচ বিঘা জমি কিনে চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেওয়া এবং জালিয়াতি করেa জমি নিবন্ধনের অভিযোগে করা মামলায় পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ। পরদিন আদালত তাকে জামিন দেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টের কাছ থেকে পাঁচ বিঘা জমি কেনার বায়নাপত্র করেন মো. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ। যার মূল্য ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে তৈরি করেন জাল দলিল। যেখানে নয় কোটি ৩৩ লাখ টাকায় জমিটি কেনা ও রেজিস্ট্রি দেখানো হয়।

প্রথম মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আরো একটি প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করা হলো।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন