জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আরো তিন আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে তোলা হয়।
আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। বিচারক সাইফুর রহমান ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে- মামলার ৩ নম্বর আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও এজাহারে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামি রাজন এবং আইনুল।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কলেজে বেড়াতে যাওয়া দম্পতিকে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। পরে তারা স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে, তবে এর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে নগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।
ইতোমধ্যে সাইফুর, অর্জুন, রবিউল, রনি, রাজন ও মাহফুজকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে সহযোগিতা করায় আরো একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অন্যদিকে রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার তরুণী। এসময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আর আদালত তরুণী জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন