মৌলভীবাজারে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি : আড়াই লক্ষ মানুষ পানিবন্ধি 


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি \ মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জেলার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অভ্যাহত রয়েছে। দূপুরের পর থেকে মনুনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় জেলায় ৫০ ইউনিয়নের ৫’শত গ্রামের ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি রয়েছেন। কুলাউড়া-বড়লেখা আ লিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি-ঘড় ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খুঁজছেন। পানি প্রবেশ করায় ইতোমধ্যে কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ রয়েছে।
হাকালুকি হাওরের তীরবর্তী ভূকশিমইল ইউনিয়নের সাদীপুর, মীরশংক, গৌরিশংকর, কালেশারসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দারা জানান ২০ জুন সকাল থেকে পানি বাড়ার কারণে তারা অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়াতে সদ্য পাওয়া বোরো ধান, গৃহপালিত গবাদি পশু, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে আর বসত বাড়িতে থাকা যাচ্ছেনা। তাই তারা আত্মীয় স্বজনের বাসাবাড়ি বা আশ্রয় কেন্দ্রেয়গুলোতে ছুটছেন। অনেক স্থানে প্রধান সড়কে গরু ছাগলসহ গবাদি পশু রেখেছেন। বসত বাড়ি ও বসবাসের ঘরে কোমর পানি থাকায় রান্নাবান্না করতে না পারায় ও পর্যাপ্ত খাবার সংগ্রহে থাকায় চরম খাবার সংকটে ভোগছেন। 
জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায় বন্যার কারণে এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার ১১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে ৪৫টি। সবমিলিয়ে ১৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ২১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকা ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। শুকনো খাবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ বিতরণ করছেন।বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ খবর নিতে ও সহযোগিতা দিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। 
 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন