মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জেলার সার্বিক পরিস্থিতির অপরিবতিত রয়েছে। মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অভ্যাহত রয়েছে। দূপুরের পর থেকে মনুনদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় জেলায় ৫০ ইউনিয়নের ৫’শত গ্রামের ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি রয়েছেন। কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি-ঘড় ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খুঁজছেন। পানি প্রবেশ করায় ইতোমধ্যে কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ রয়েছে। টানা ভারি বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি উজান থেকে আসা পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। নদী তীরবর্তী চাঁদনীঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে পৌর মেয়র ফজলুæর রহমান বলেন, দুইদিন ধরে মনু নদের পানি বাড়ছে। কিন্তু এতে চিন্তিত হবার কিছু নেই। আমরা সর্বক্ষণ পানির খবর রাখছি। গতকাল সারারাত জেগেছিলাম, মৌলভীবাজার জেলা শহরের কোনো এলাকায় এ বছর বন্যা হবার আশঙ্কা নেই। শহর রক্ষা বাঁেধর সুরক্ষায় আনসার ভিডিপির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে নির্মাণাধীন বাঁধ ও অস্থায়ী বাঁধ অনাকাঙ্খীত কারণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষার্থে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। রবিবার রাত থেকে মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে জনগনের জানমাল রক্ষায় তাৎক্ষনিক আনসার ভিডিপি সদস্যদের মোতায়েন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। বাঁধের দীর্ঘ এলাকা জুড়ে মনু নদীর উচ্চতা ও গতিপ্রকৃতি অবলোকন করাসহ নির্মাণাধীন নান্দনিক স্থাপনা সমূহ রক্ষণাবেক্ষন,নির্মাণাধীন স্থানে অনাকাঙ্খিত নদীর পানি প্রবেশ হওয়া ঠেকানো এবং সাধারণ মানুষের জনসমাগম এড়াতে বাহিনীর সদস্যগণ মোতায়েন রয়েছে। গতকাল ওই এলাকা পরিদর্শনে যান আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো: সেফাউল হোসেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন