আবুল কাশেম রুমন,সিলেট ||
সিলেটে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বন্যায় পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের আর জেলাওয়ারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সুনামগঞ্জে।
যত মানুষ মারা গেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বজ্রপাতে মারা গেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগের মধ্যে সুনামগঞ্জে ২৬ জন, সিলেটে ১৭জন, হবিগঞ্জে ১ জন ও মৌলভীবাজারে ৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ জন মারা গেছেন পানিতে ডুবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, বুধবার (২২ জুন) পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ৩ হাজার ৪০৩ জন আক্রান্ত থাকলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তা বেড়ে ৪ হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় রোগী বেড়েছে ৬৪৫ জন।
বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৫ জন। তবে এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন। তবে এই রোগেও কারও মৃত্যুর খবর নেই। বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা সিলেট বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা ভিত্তিক মৃত্রুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৩ জুনের মধ্যে এখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন