গ্রিসে প্রদর্শিত হল ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল

মতিউর রহমান মুন্না, গ্রিস থেকে ||

ইউরোপের দেশ গ্রিসে প্রদর্শিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি গল্প “হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল”। গ্রিসের প্রথম বহুভাষিক গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় “উই নিড বুকস” ডকুমেন্টারি ফিল্ম “হাসিনা: এ ডটারস টেল” প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।  রোববার গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বহুভাষিক পাঠাগার ও সংস্কৃতি কেন্দ্র ‘উই নিড বুকস’-এ প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয়।
‘উই নিড বুকস’-এর সহায়তায় গ্রিসে বাংলাদেশের দূতাবাস এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও, ছাত্র, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের ক‚টনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ দেখতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রাচীন ও পশ্চিমা সভ্যতার দোলনা হিসেবে পরিচিত গ্রিসের মতো দেশে এই ডকুমেন্টারী ফিল্মটির প্রথম প্রদর্শনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যদের এবং নির্মাণে তাদের ভূমিকা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও কৌতূহলের সৃষ্টি করে। এ ডটারস টেল মোটেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে তৈরি কোনো ডকুমেন্টারি নয়। বরং এটি বঙ্গবন্ধু কন্যাদের গল্প বলেছে। এই ডকুড্রামাটি তার শিরোনামের মতই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক আবহ তৈরি করে। যা বর্ণনা করে দেশটির (বাংলাদেশের) অন্ধকার একদিন কিভাবে দুই কন্যার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
তারা এটা দেখে বিশেষভাবে বিস্মিত হয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতার কন্যা কীভাবে তাদের বাবা এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর তার একমাত্র জীবিত বোন শেখ রেহানার সাথে তার সবচেয়ে সংগ্রামী সময়টি মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছিলেন। দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রতিশ্রæতি ও নিঃস্বার্থ সংকল্পে উদ্বুদ্ধ নিরলস প্রচেষ্টা দর্শকদের কল্পনায় কেড়েছে।
বহুভাষিক গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস আইওনা নিসিরিউয়ের একটি সংক্ষিপ্ত স্বাগত বক্তব্যের আগে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হয়েছিল। 
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে- বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দূতাবাসের চলমান অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আয়োজিত প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকার জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্ষম ও গতিশীল নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১-এ পরিকল্পিত সমৃদ্ধি, আধুনিকতা, অন্তর্ভুক্তি, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
রাষ্ট্রদূত আগামী দিনে গ্রিসের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের আরও স্ক্রিনিং আয়োজনের জন্য তার দূতাবাসের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।


 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন