জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
রাজধানীসহ সারাদেশই কমবেশি দাবদাহে পুড়ছে। এই অবস্থায় পিপাসার্ত মানুষ যেখানেই পানি পাচ্ছেন, সেখানেই পিপাসা নিবারণের চেষ্টা করেছেন। সেক্ষেত্রে অনেকাংশেই দেখা হয় না যেই পানিটি তিনি পান করছেন, তা বিশুদ্ধ কি না। যার ফলে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়ায়।
আক্রান্ত রোগীদের অন্যতম ভরসা কেন্দ্র আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) সূত্রে জানা গেছে, গরমের কারণে গত কয়েকদিনে বেড়েছেআক্রান্ত রোগী, হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। সাধারণত দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভুক্তভোগী হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শহরে ট্যাপের পানি সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে দূষিত হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় পচন ধরা ফ্রিজের খাবার গ্রহণ অন্যতম কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
এগারো মাস বয়সী শিশু জান্নাত হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। শারীরিকভাবে খুব বেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় নড়াচড়াও করছে না তেমন। ছয়দিন ধরে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) হাসপাতালে আসেন শিশুর মা। তিনি বলেন, প্রথমে মেয়ের জ্বর আসে, তারপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা আর বমি। গতকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছি, এখন পর্যন্ত বমিটা শুধু থেমেছে, পাতলা পায়খানা ভালো হয়নি। ডাক্তার বলেছে স্যালাইন খাওয়ালে ঠিক হয়ে যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন