জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
কানাডার বৃহত্তম প্রভিন্স অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি বেগম। সেখানকার রাজনৈতিক দল এনডিপি তাকে দলের উপনেতা এবং প্রভিন্সিয়িাল পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে মনোনীত করেছে।
ডলি বেগম প্রথম কোনোও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, যিনি কানাডায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। শুধু তাই-ই নয়, তিনি প্রথম কোনোও বাংলাদেশি-কানাডিয়ান, যিনি টানা দুইবার এমপি হলেন।
ডলি বেগমের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের বাজরাকোনায়। তার বাবা রাজা মিয়া ও মা জবা বেগম। বাজরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে মনুমুখ পিটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। তবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালেই, প্রায় ২৩ বছর আগে পরিবারের সাথে পাড়ি জমান কানাডায়। সেখানে ২০১২ সালে টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন ডলি।
পড়াশোনা শেষে প্রায় ১০ মাস সিটি অব টরেন্টোতে কাজ করেন ডলি বেগম। এ ছাড়া রিসার্চ অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনালসে।
২০১৮ সালের ৮ জুন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রাদেশিক নির্বাচনে স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন ডলি বেগম।
গত জুন মাসে ডলি বেগম স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের পর এনডিপি দলের নেতা এন্ড্রিয়া হারওয়াথ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর ফলে
স্থানীয় সময় গত বুধবার (১৩ জুলাই) এনডিপি দলের এবং অন্টারিওর সংসদে বিরোধীদলের উপনেতা হিসেবে ডলি বেগমকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়। ডলি কানাডায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পেলেন।
গত জুনে অনুষ্ঠিত প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে স্কারবোরো সাউথওয়েষ্ট থেকে ডলি বেগম দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৯৫৪ ভোট পান ডলি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রগ্রেভি কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেট স্নিডার ৯ হাজার ৪৩৬ ভোট পান। ওই নির্বাচনের পর দলের নেতা এন্ড্রিয়া হারওয়াথ পদত্যাগের ঘোষণা দিলে ডলি বেগমকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়। তিনিই সংসদে দলের উপনেতা হচ্ছেন বলে কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শেষ অবধি তাই-ই হয়েছে।
এদিকে, সংসদে উপনেতা মনোনীত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডলি বেগম বলেন, কুইন্সপার্কে (প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে) অন্টারিওর সকল স্তরের নাগরিকের বক্তব্য কার্যকরভাবে তুলে ধরা এবং সেগুলো শুনতে সরকারকে বাধ্য করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন