জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র কোরিয়া হেরাল্ডের যৌথ উদ্যোগে গ্লোবাল বিজনেস ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ জুলাই) সিউলের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে গ্লোবাল বিজনেস ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।
সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ফোরামে বিভিন্ন কোরিয়ান কোম্পানির প্রায় ১২০ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদের সদস্যরা, উত্তর গিয়ংসাং প্রভিন্সের গভর্নর এবং কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন। কোরিয়ান ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের নিকট বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দূতাবাস ওই ফোরামের আয়োজন করে।
ফোরামে হেরাল্ড করপোরেশনের চেয়ারম্যান চ্যাং ওং-জ্যু এবং কোরিয়া হেরাল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চই জিন-ইয়ং তাদের বক্তব্যে ভবিষ্যতেও এরূপ অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন উপস্থিত কোরিয়ান অতিথিদের নিকট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধনের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সার্বিক অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহের উপর আলোকপাত করেন যেখানে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে।
কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার (কেওটিআরএ) বর্তমান মহাপরিচালক ও ঢাকায় অবস্থিত কেওটিআরএর অফিসের সাবেক মহাপরিচালক কিং জং-ওন ফোরামে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে উপস্থাপনা প্রদান করেন। তিনি তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ সম্পর্কে তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের চলমান ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ ও নীতি, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম ব্যয় প্রভৃতি বিবেচনায় বাংলাদেশ কোরিয়ান ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হতে পারে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কোরিয়ান বিখ্যাত কোম্পানিগুলো যেমন- স্যামসাং ও হুন্দাই বাংলাদেশের স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের জন্য প্রদত্ত আনুষঙ্গিক সুবিধা বিবেচনা করে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের উৎসাহ দেন।
ফোরামে বাংলাদেশ ও এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে উপস্থিত কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের ধারণা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অতিথিদেরকে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কিত ব্রোশিয়ার ও উপহার সামগ্রী (সবুজ চা) দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন