জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯’ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার (২৪ জুলাই) চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, কূটনৈতিক, ব্রুনাইয়ের সুশীল সমাজের সদস্য, সাংবাদিক, শিল্পীসহ অনেকে অংশ নেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব স্টলসমূহে নানাবিধ পণ্য প্রদর্শন করেন। ব্রুনাইয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
ব্রুনাইয়ের খ্যাতিমান শিল্পী পিজি ওহাব হাসান উপস্থিত সবাইকে লাইভ পেইন্টিং করে মনোরঞ্জন করেন। বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা প্রশংসাপত্র বিতরণের মাধ্যমে মেধাবী শিল্পী ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের পৃষ্ঠপোষকদের প্রতিভা এবং অবদানের স্বীকৃতি দেন। ফিতা কেটে বর্ষবরণের এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার। তিনি উপস্থিত কূটনৈতিকদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। স্টলের মালিক ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার যেমন- পান্তা, ইলিশ, বিভিন্ন রকমের পিঠা, শাক-সবজি এবং অন্যান্য জনপ্রিয় বাংলাদেশি খাবারগুলো কূটনৈতিক ও অন্যান্য অতিথিদের পরিবেশন করা হলে তারা খাবারগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন। দিনব্যাপী প্রোগ্রামটি বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় অংশে বিভক্ত হয়েছিল। বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্রুনাই প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের জ্ঞান ও ধারণার পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের ভেতরে দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগ্রত করতে শিশুদের জন্য খেলাধুলা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শক শ্রোতাদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ব্রুনাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশ কমিউনিটির সেরা শিক্ষার্থীদের ও লা ভিডা বেরহাদ নামক সংস্থার বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের দর্শনীয় সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্সের জন্য হাইকমিশনার কর্তৃক স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট দিয়ে পুরস্কৃত ও অনুপ্রাণিত করা ছিল বাংলাদেশ হাই কমিশনের আরেকটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তার বক্তব্য শুরু করেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর জন্য তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, গত ১৫ জুলাই ছিল ব্রুনাইয়ের সুলতানের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী, যা ব্রুনাইয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তথা বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার সবাইকে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাউকে পেছনে না রেখে একতাবদ্ধভাবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম উন্নত সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে সব মতপার্থক্য ভুলে সবাইকে এগিয়ে যাবার অনুরোধ করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন