জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
কোভিড-১৯ এর টিকা উৎপাদন, চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে দেশগুলোকে আরো ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, নিরাপদ ও কার্যকর কোভিড-১৯ ডায়াগণস্টিকস চিকিৎসা এবং টিকাগুলোর জন্য বিশ্বকে জরুরিভাবে উন্নত, উৎপাদন এবং ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, এই মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার ও পুনর্নির্মাণে বিশ্বকে সহায়তা করার জন্য অ্যাক্সেস টু কোভিড-১৯ সরঞ্জাম এক্সিলারেটর (এসিটি-এক্সিলারেটর), শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন এবং বেসরকারি খাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এসিটি-এক্সিলারেটর ‘প্রস্তুত এবং এটির কাজ চলছে।
‘ইতোমধ্যে আমরা বর্তমানে নিম্ন-মধ্যম-আয়ের দেশগুলো দ্রুত ডায়াগণস্টিকগুলোর সম্ভাব্যতা এবং ঘোষণা, গুরুতর কোভিড-১৯ রোগের প্রমাণিত থেরাপি, বিস্তৃত, গতিশীল টিকা গবেষণা পোর্টফোলিওর সাফল্য দেখছি।’
১৫৬ টিরও বেশি অর্থনীতির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোভাক্স টিকা বিশ্বব্যাপী জনগণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে, বলেন তিনি।
জাতিসংঘের ডেপুটি চিফ বলেন, আমরা এখন এসিটি-এক্সিলারেটর এবং এর কোভাক্স ফ্যাসিলিটির কাজের এক জটিল মুহূর্তে এসেছি।
তিনি বলেন, চলমান কাজ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আবারও বৈশ্বিক সমাধানের সম্ভাবনা বাড়াতে আমাদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পছন্দ এবং তহবিলের একটি কোয়ান্টাম লিপিং নিতে হবে।
এখন পর্যন্ত তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তায় এসিটি -এক্সিলারেটরের শুরুর পর্বকে ‘এ ক্রিটিকাল সিড ফান্ড’ হিসাবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য সুবিধাগুলোর শুরু থেকে স্কেল পর্যন্ত যেতে সহায়তা করার জন্য এখন অতিরিক্ত ৩৫ বিলিয়ন ডলার দরকার: যার মধ্যে ২ বিলিয়ন টিকা ডোজ, ২৪৫ মিলিয়ন চিকিৎসা এবং ৫০০ মিলিয়ন পরীক্ষার জন্য।
এ কাজটি তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে নিতে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে বিশ্বজুড়ে এক বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক এবং মানবিক সংকট ছড়িয়ে পড়েছে এবং সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
যদিও কোনো দেশ বা সমাজ এককভাবে সফল হবে না, একত্রিত হওয়ার পরিবর্তে মি ফার্স্ট লজিক বজায় রাখছি। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং জীবন বাঁচাতে আমাদের সংহতি ও একত্রীকরণের বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা দরকার, বলেন তিনি।
এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, এসিটি এক্সিলারেটরসহ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সরকার, বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ীক, নাগরিক সমাজ, সমাজসেবী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন