জিবিনিউজ24ডেস্ক//
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে তরুণ সমাজ বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে, এই হোক আমাদের প্রত্যয়।
নিউইয়র্কে সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী পালন উপলক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থায়ী মিশন জানায়, মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি। এরপর জাতির পিতা এবং তার পরিবারের শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় স্পিকারের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতসহ মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পরে দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এরপর শুরু হয় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা।
স্পিকার তার বক্তব্যে জাতির পিতার শৈশব ও কৈশোরসহ তার পরিবারের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন। দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের প্রতি জাতির পিতার গভীর মমত্বের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির অগ্রনায়ক।
সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের ভগ্নস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে কীভাবে জাতির পিতা বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন তা তুলে ধরেনে স্পিকার।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আমরা আজ স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, দারিদ্র্য বিমোচন, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্কসহ প্রতিটি সেক্টরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়।
পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরে স্পিকার বলেন, জাতির সব উন্নয়নে জাতির পিতা আছেন এবং চিরদিন থাকবেন।
নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশিদ আলম তার বক্তব্যে স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার ক্ষেত্রে জাতির পিতার দূরদর্শিতার কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে স্বাগত ভাষণ দেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। তিনি ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে দেওয়া জাতির পিতার ভাষণের অংশবিশেষ তুলে ধরেন। এ স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, জাতির পিতার কালজয়ী সেই ভাষণের মর্মবাণী এবং তার নীতি-আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন