তিস্তা নয়, কুশিয়ারার পানি দিতে পারে ভারত

 জিবিনিউজ24ডেস্ক//

এক যুগেরও বেশি সময় পর বৈঠকে বসছে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)। দুই দেশের মধ্যে বহমান ৫৪টি নদীর মধ্যে যে অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে, বৈঠকে সেসবের কোনো কোনোটির সমাধানের ইঙ্গিত রয়েছে। তবে বহুল প্রতিক্ষীত তিস্তার জট খোলা নিয়ে বাংলাদেশের জন্য কোনো সুসংবাদ থাকছে না। ভারতের দিক থেকে চাওয়া- বৈঠকে তিস্তার ইস্যুটি যেন ওঠানোই না হয়। যদিও ঢাকা বলছে, আলোচনায় তিস্তা ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে। 

নয়াদিল্লি বলছে, তিস্তা আলোচনায় থাকলে দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠেয় বৈঠকে ভালো কিছু হবে না। অন্যদিকে ঢাকা বলছে, নয়াদিল্লি তিস্তা নিয়ে অনাগ্রহ দেখালেও আলোচনায় তিস্তাতে জোর দেবে ঢাকা। আর এই চাপ কিংবা আলোচনা তিস্তার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জিইয়ে রাখা হবে। তবে এবারের জেআরসিতে তিস্তা ইস্যুতে অগ্রগতি হচ্ছে না বলেই ধরে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।  

জেআরসি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের কথা রয়েছে। ওই বৈঠককে সামনে রেখে জেআরসিতে কুশিয়ারা নদীর বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায় ঢাকা। প্রধানমন্ত্রীর সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ কুশিয়ারা নদীর পানি রহিমপুর খাল দিয়ে কৃষিকাজে ব্যবহার শুরু করার পর ভারতকে প্রতিদিন ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক পানি দেবে। ২০১৯ সালে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে সরবরাহ করা হবে, যাতে সেখানে পানীয় জলের প্রয়োজন মেটানো যায়।

গঙ্গা নদীর ওপর অবকাঠামো নির্মাণ এবং বছর চারেক পরে শেষ হতে যাওয়া গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তির মেয়াদ সময়ভিত্তিক না করার বিষয়েও আলোচনা করবে ঢাকা। অন্যদিকে ছয়টি অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনা হবে। আর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গুরত্ব দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন