জিবিনিউজ24ডেস্ক//
হিন্দু সম্প্রদায়কে নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবেন। আমরা চাই, এখানে আমাদের সব ধর্মের মানুষ নিজেদের সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এদেশের মাটিতে সবার সমান অধিকার, আমার যতটুকু অধিকার আপনারও ততটুকু অধিকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির ও চট্টগ্রামের জে এম সেন হলের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়কে বলব, আপনারা এদেশের মানুষ; নিজেদের সংখ্যালঘু মনে না করে মনে করবেন আপনারা এই দেশেরই নাগরিক। তাই সমানভাবে নাগরিক অধিকার আপনারা ভোগ করবেন এবং আমরাও সেইভাবে আপনাদের দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘কখনো নিজেদের মনে কোনো হীনম্মন্যতা নিয়ে আসবেন না। কারণ আপনারা যারা এদেশের নাগরিক তারা সবাই দেশের মালিক এবং নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার রয়েছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি চলতে পারেন তাহলে আর দুষ্টু লোকেরা কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। আর দুষ্টু লোক সব ধর্মেই রয়েছে। কাজেই এই ঐক্য ও বিশ্বাসটা সবার মধ্যে থাকতে হবে এবং সেটা নিয়েই আপনারা চলবেন, সেটাই আমি চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা গোষ্ঠী দেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে না। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার পাঁয়তারা একটি গোষ্ঠী করতেই থাকে। এটা করার লোক সব ধর্মেই আছে।
তবে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে সতর্ক থাকে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখনই ধর্মীয় ইস্যুতে কোনো অঘটন ঘটেছে, তখনই আওয়ামী লীগ সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে অনাকাঙ্ক্ষিত সমালোচনা হয়। সরকার এসব ঘটনা রোধে যেসব পদক্ষেপ নেয় সেগুলোর কথা না বলে তারা শুধু সমালোচনাই করে।
আওয়ামী লীগ কাউকে হেয় করার নীতিতে বিশ্বাস করে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলা ঠিক না। দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, অধিক মুনাফার জন্য কিছু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়েছে। বিষয়টি সরকার কঠোরভাবে মনিটরিং করছে।
করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকে তিনি ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ বলেও উল্লেখ করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন