থাই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দায়িত্ব পালন স্থগিত করল আদালত

 জিবিনিউজ24ডেস্ক//

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচাকে তার সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক এক আদালত। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের সীমা ৮ বছর করায় ওচার অপসারণ চেয়ে দেশটির আদালতে বিরোধীদের দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাকে সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলেছে আদালত।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদের সীমার বিষয়ে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য ২৪ আগস্ট থেকে প্রায়ুতের সব সরকারি দায়িত্ব স্থগিত করেছে আদালত।

আদালত বলেছে, বিরোধীদের করা আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় সর্বসম্মতভাবে সেটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তবে দেশটির প্রধান বিরোধীদলের করা আবেদনের বিষয়ে চূড়ান্ত রায় কবে ঘোষণা করা হবে সেটি পরিষ্কার নয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী উইসানু ক্রি-এনগাম বলেছেন, উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রায়িত ওংসুওয়ান অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রায়ুত চান ওচা তার দায়িত্ব পুনরায় ফিরেও পেতে পারেন। থাই এই প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে আদালতের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিবৃতিতে আদালত বলেছে, আদালতের সিদ্ধান্তের জবাব দেওয়ার জন্য প্রায়ুত ১৫ দিনের সময় পাবেন। আদালতের পাঁচ সদস্যের বিচারিক প্যানেলের মধ্যে চারজনই প্রায়ুতের সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যা বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় আসেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুত। পরে ২০১৯ সালে সেনারচিত সংবিধানের আওতায় অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়ে বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। সামরিক জান্তার প্রধান হিসাবে প্রায়ুতের কাটানো সময় তার সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত আট বছরের মেয়াদের জন্য গণনা করা উচিত বলে যুক্তি দিয়েছেন বিরোধীরা। 

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রায়ুতকে চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিদায় চান। 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন