জিবিনিউজ24ডেস্ক//
নাগরিক সুবিধার সব শর্ত পূরণ হলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চান মিয়ানমারে। তবে সেটা কতটুকু সম্ভব— জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমার এ বছরই প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করবে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। মিয়ানমার চেষ্টা করবে প্রত্যাবাসন শুরু করে এটিকে ঝুলিয়ে ফেলতে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) থেকে দুই দুটি জাজমেন্ট এসেছে রোহিঙ্গাদের পক্ষে। চূড়ান্ত জাজমেন্টও রোহিঙ্গাদের পক্ষে আসবে, তা অনুমান করা যায়, বা ভিন্ন কিছু ঘটবে না রায়ে। এর মধ্যে আমেরিকার মতো বড় দেশ তিন-সাড়ে তিন বছর গবেষণার পর জানিয়েছে, মিয়ানমার গণহত্যা চালিয়েছে। এটা কিন্তু আশার দিক।’
তিনি বলেন, ‘আইসিজে দ্বিতীয় জাজমেন্টে কিন্তু ইনডিপেন্ডেন্ট কমিশনের উদ্ধৃতি দিয়েছে। তারা আগেই বলেছে, গণহত্যা হয়েছে মিয়ানমারে। সে জায়গায় মিয়ানমার খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে যে, চূড়ান্ত রায়ে জেনোসাইড ও প্রত্যাবাসনের বিষয়টি থাকবে। কিন্তু মিয়ানমার চাইবে প্রত্যাবাসনে সংখ্যা কমাতে। কীভাবে সংখ্যা কমিয়ে প্রত্যাবাসন করা যায়, সে কূটকৌশল খুঁজবে। মিয়ানমার আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে বোঝাতে চাইবে, তারা কিন্তু প্রত্যাবাসন শুরু করেছে। তড়িঘড়ি করে কিছু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চাইবে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকা দরকার।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন