রাশিয়া আর যুদ্ধ থামাতে পারবে না : মেদভেদেভ

জিবিনিউজ24ডেস্ক//

ইউক্রেনে রুশ বাহিনী যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তা শিগগির শেষ হচ্ছে না। সার্বিক পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ইউক্রেন যদি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আশা ছেড়েও দেয়— তবুও এখন যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়।

শুক্রবার ফ্রান্সের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা রাশিয়া’স সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তৎপরতায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর আগে এ বিষয়ে একাধিকবার প্রকাশ্যে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  

মূলত ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার ‍দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

ইউক্রেন যদি ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধ থামবে কিনা— প্রশ্নের উত্তরে মেদভেদেভ বলেন, ‘(ইউক্রেনের) ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহার এবং এ বিষয়ক তৎপরতা থেকে সরে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই মুহূর্তে শান্তি স্থাপনের জন্য এটি যথেষ্ট নয়।’

‘এই অভিযানে কিছু লক্ষ্য আছে রাশিয়ার। এসবের মধ্যে একটি হলো— ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা। যতদিন আমাদের লক্ষ্য পূরণ না হবে, ততদিন অভিযান চলবে।’

অভিযান শুরুর পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংলাপ হয়েছে, কিন্তু তাতে যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি এবং গত প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যকার শান্তি সংলাপ।

এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আসলে সংলাপের বিষয়টি সার্বিক পরিস্থিতিতির ওপর নির্ভর করে…আমাদের পক্ষ থেকে সংলাপ চালিয়ে নিতে কোনো সমস্যা নেই। অভিযান শুরুর আগেও আমরা (জেলেনস্কির সঙ্গে) বৈঠক করতে প্রস্তুত ছিলাম।’

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে দফায় দফায় সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। এসব সহায়তার মধ্যে হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেমও রয়েছে। যখন এসব যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র, সে সময় কঠোর আপত্তি জানিয়েছিল রাশিয়া।

শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে মেদভেদেভ বলেন, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এই মুহূর্তে বেশি চিন্তিত নয় রাশিয়া।

’৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম— এমন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা নেই।’

‘কিন্তু ইউক্রেনকে যদি এমন ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হয়, যা ৩০০-৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, সেক্ষেত্রে অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন