জিবিনিউজ24ডেস্ক//
বৃটেনের জ্বালানি বিষয়ক রেগুলেটর অফজেম শুক্রবার নিশ্চিত করেছে যে- অক্টোবর থেকে সেখানে ভোক্তা মূল্য শতকরা ৮০ ভাগ বৃদ্ধি করা হবে। এর ফলে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত গ্যাস এবং বিদ্যুতের বিল বছরে ১৯৭১ পাউন্ড থেকে ৩৫৪৯ পাউন্ডে দাঁড়াবে। এ অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চ্যান্সেলর নাদিম জাহাওয়ি। তিনি বলেছেন, সমাজে মধ্যম আয়ের যেসব মানুষ আছেন এর ফলে তারা কঠিন বাস্তবতায় পড়বেন। আর সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের কথা বলাই বাহুল্য। তিনি বলেছেন, যেসব মানুষ বছরে প্রায় ৪৫ হাজার পাউন্ড আয় করেন এবং যারা সুবিধা নিয়ে বসবাস করেন, তাদের জন্য এই শীতে সরকারের উচিত জ¦ালানি বিলে সহায়তা দেয়া। এ খবর দিযেছে অনলাইন গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, চ্যান্সেলর নাদিম জাহাওয়ি ডেইলি টেলিগ্রাফকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে সামনের কয়েক মাসে জ¦ালানি বিলে প্রতিটি বাড়িতে ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত ছাড় দেয়া হবে। অন্যদিকে যারা ইউনিভার্সেল ক্রেডিট এবং অন্যান্য সুবিধা পান তারা পাবেন ৬৫০ পাউন্ড করে। কিন্তু জাহাওয়ি বলেন, আমার উদ্বেগ তাদেরকে নিয়ে, যারা এসব সুবিধা পান না।
বিজ্ঞাপন
যদি আপনি একজন সিনিয়র নার্স বা একজন সিনিয়র শিক্ষক হন, তাহলে হয়তো আপনার বার্ষিক বেতন ৪৫ হাজার পাউন্ড। এক্ষেত্রে যদি আপনার জ¦ালানি বিল শতকরা ৮০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়া হয়, তাহলে বাস্তবেই তা হবে খুব কঠিন বাস্তবতা। এই বিল নতুন বছরে আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে।
তিনি আরও বলেন, যদি আপনি একজন পেনশনার হন, তাহলে আপনার জন্য এই পরিস্থিতি কঠিন। কিন্তু এক্ষেত্রে যাদের খুব প্রয়োজন তাদের জন্য সহায়তা করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সব অপশন পর্যালোচনা করে দেখছি আমরা। তবে সমালোচকরা সতর্ক করেছেন। তারা বলেছেন, এ অবস্থায় কম আয়ের মানুষগুলোগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে। বাড়তি বিলের হুমকি কাঁধে পড়বে লাখ লাখ মানুষের। আসন্ন শীতে তাদেরকে হয়তো উষ্ণ থাকা অথবা খাবার খাওয়া এ দুটির একটিকে বেছে নিতে হবে। কঠিন এক সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে তাদেরকে।
এ অবস্থায় শুক্রবার বৃটিশ নাগরিকদের প্রতি বিদ্যুৎ তথা জ¦ালানির ব্যবহার বিবেচ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেছেন চ্যান্সেলর নাদিম জাহাওয়ি। এ বিষয়ে সমর্থন দিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধানের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা দুই প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। তবে তাদের কেউই এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এখনও ফ্রন্টরানার। যদি তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হন তাহলে তিনিই হবেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে অবিলম্বে সুচিন্তিত ‘সাপোর্ট’ কর্মসূচি হাতে নেবেন। অন্যদিকে ঋষি সুনাক বলেছেন, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সাপোর্টের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
এ অবস্থায় নাদিম জাহাওয়ি ঘোষণা করেছেন যে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য তিনি একটি একশন প্লান তৈরি করছেন। যাতে তারা সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেয়ার পরই কাজ করার একটি ভিত্তি পান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন