আবুল কাশেম রুমন,সিলেট:
গোঠা সিলেটে নগরীর চারিদিকে ড্রেন ও রাস্তাঘাটে মেরামতের কাজ চলছে। অল্প বৃষ্টি পাত হলেই নগরীতে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। রোববার (৪ সেপ্টম্বর) গভীর রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয় সোমবার সরাদিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর অলি গলিতে কোমর পানি পর্যন্ত হতে দেখা যায়। বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে এসময় অনেকেই আতংকে পড়ে যান ৪র্থ ধাপে বন্যা না কি এই হতাশা চোখে মুখে দেখা যায়।
নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভ্যন্তরে, লামাবাজার, মিরেরময়দান, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, সোনাপাড়া, শাহজালাল উপশহর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, কাজলশাহ, লালাদীঘির পাড়, আম্বরখানা এলাকায় অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার মধ্যরাত থেকে সোববার টানা বৃষ্টির ফলে বাসাবাড়ি ও সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভ্যন্তরে পানি জমে রয়েছে। এই জলাবদ্ধতায় রোগীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
নগরের সুরমা নদী সংলগ্ন এলাকা মেন্দিবাগ, কুশিঘাট, তোপখানা, কালীঘাট, শেখঘাট এলাকায় দেখা গেছে নদীর পানি ভরাট অবস্থায় রয়েছে। পানি আরও বাড়লে ওই এলাকাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পানি প্রবেশ করবে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপদ সীমা অতিক্রম করেনি, তবে নদীর পানি বাড়ছে।
রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অবিশ্বাস্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন হচ্ছে। তাছাড়া হাওর ও নদী ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে টিলা থেকে বালু নেমেও ড্রেন ও ছড়া ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি নামবে কোনদিকে।
জলাবদ্ধতার জন্য নগরবাসীরও দায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরবাসী সবধরনের ময়লা আবর্জনা, পলিথিন ড্রেনে ফেলে দেন। এতে ড্রেন ভরাট হয়ে যায়। তাছাড়া নগরীর প্রায় ওয়ার্ডে ড্রেনের কুড়াকুড়ির কারণে বেশি জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন