হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।|
চেহারা মোবারক : রাসুল (সা.)-এর চেহারা ছিল খুবই লাবণ্যময় ও নূরানি। পূর্ণিমার চাঁদের মতো ঝকঝকে। দুধে আলতা মিশ্রণ করলে যে রং হয়, রাসুল (সা.)-এর গায়ের রং তেমনি ছিল।
আকার : খুব লম্বাও নন, খুব বেঁটেও নন, মধ্যম আকৃতির। তাঁর আগে ও পরে কখনো তাঁর মতো সুপুরুষ দুনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেননি।
চুল : রাসুল (সা.)-এর মাথার চুল ছিল কানের লতি পর্যন্ত কিছুটা কোঁকড়ানো, ঢেউ খেলানো বাবরি। বাবরি কখনো ঘাড় পর্যন্ত আবার কানের লতি পর্যন্ত থাকত। শেষ বয়সে চুল লালাভ হয়েছিল।
মাথা : প্রিয় নবী রাসুল (সা.)-এর মাথা অপেক্ষাকৃত বড় ছিল।
চক্ষু : প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চক্ষুযুগলের মণি খুব কালো ছিল। চোখের পাতা ছিল খুব বড় এবং সর্বদা সুরমা লাগানোর মতো দেখাত।
নাসিকা : রাসুল (সা.)-এর নাক ছিল অতীব সুন্দর ও উঁচু।
দাঁত : অতীব সুন্দর রজতশুভ্র দাঁত ছিল রাসুল (সা.)-এর। যা পরস্পর একেবারে মিলিত ছিল না, বরং সামান্য ফাঁকা ফাঁকা ছিল। হাসির সময় তাঁর দাঁত মুক্তার মতো চমকাত।
ঘাড় : রাসুল (সা.)-এর ঘাড় ছিল দীর্ঘ, মনোরম মাংস, কাঁধের হাড় আকারে বড় ছিল।
মোহর : দুই কাঁধের মধ্যস্থলে কবুতরের ডিমসদৃশ একটু উঁচু মাংস খণ্ড ছিল। এটাই মোহরে নবুয়াত। এতে লিখা ছিল "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"। মোহরের উপর তিলক ও পশম ছিল এবং রং ছিল ঈসৎ লাল।
দাড়ি : রাসুল (সা.)-এর দাড়ি ছিল লম্বা, ঘন, যা প্রায় বক্ষ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
হাত : হাত ও আঙুলগুলো লম্বা ছিল হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত পশম ছিল। হাতের তালু ছিল ভরাট ও প্রশস্ত।
বক্ষ : রাসুল (সা.)-এর বক্ষ ছিল কিছুটা উঁচু ও বীর বাহাদুরের মতো প্রশস্ত। বক্ষস্থল থেকে নাভি পর্যন্ত চুলের সরু একটা রেখা ছিল।
পেট : রাসুল (সা.)-এর পেট মোটা কিংবা ভুড়ি ছিল না। সুন্দর সমান ছিল।
পদদ্বয় : সুগঠিত উরু ও পদদ্বয়। দুই পায়ের গোড়ালি পাতলা ছিল। পায়ের তালুর মধ্যভাগে কিছুটা খালি ছিল। চলার সময় সামান্য ঝুঁকে মাটির দিকে দৃষ্টিপাত করে হাঁটতেন।
চামড়া : রাসুল (সা.)-এর শরীরের চামড়া রেশম থেকেও অধিক মসৃণ ও নরম ছিল।
ঘাম : রাসুল (সা.)-এর শরীরে ঘাম হলে ঘামের বিন্দুগুলো মতির মতো চমকাত। তাঁর ঘাম ছিল অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত।
শরীর : তিনি অত্যন্ত স্থূলও ছিলেন না, অত্যন্ত ক্ষীণকায়ও ছিলেন না। তাঁর গম্ভীর চেহারা দেখলে যেকোনো মানুষের হৃদয় প্রভাবিত হতো। মহাপুরুষের যাবতীয় লক্ষণই মহানবী (সা.)-এর পবিত্র দেহে বর্তমান ছিল।
(সূত্র : সিরাতে ইবনে হিশাম-পৃ. ৪৯, বিশ্বনবী পরিচয়-পৃ. ৭৮)
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন